Weather Updates: কমছে শীতের আয়ু, লক্ষ্মীবারেই ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি!
Kolkata: বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি।
কলকাতা: কমছে শীতের আয়ু। একধাক্কায় ফের বাড়ল তাপমাত্রা। মেঘলা আকাশে বৃষ্টির আশঙ্কা। শুক্রবার থেকেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও হতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস বলছে, পিছু হটতে পারে শীত। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ – উভয় ক্ষেত্রেই আবহাওয়া (Weather in West Bengal) মূলত শুষ্কই থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হবে। মূলত বেশি বৃষ্টি হবে ৪ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার)।
৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এর পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে । শনিবারও (৫ ফেব্রুয়ারি) উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও দুই ডিগ্রি বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গেও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার। পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া ,মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলির মতো কিছু জায়গায় বেশি বৃষ্টি হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি বৃষ্টি আবার কমে যাবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। কিন্তু শুক্রবার বৃষ্টিপাত হবে গোটা রাজ্যে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার আকাশ আংশিক মেঘলাই থাকবে। সন্ধেবেলা বা রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩২ শতাংশ।
এদিকে, কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশের দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় শহরতলীর বিভিন্ন জায়গা যেমন বাগুইআটি, কেষ্টপুর, সল্টলেক, রাজারহাট-নিউটাউন, বিশ্ববাংলা সরণিতে গাড়ির আলো জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলে যান চলাচল। কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান চলাচলের ওপর খানিকটা প্রভাব পড়ে। ধীর গতিতে ওঠা-নামা করছে বিমান। কৃত্রিম আলো ক্যাটের ব্যবহার করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিমান চলাচল পরিষেবা খানিকটা বিলম্বিত হতে পারে বলে খবর। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে চারটে পর্যন্ত দৃশ্যমানতা ২০০ মিটার থাকলেও পাঁচটা থেকে তা নেমে আসে ১০০ মিটারে। বিমান পরিষেবা সচল রাখতে বিকল্প পদ্ধতিতে সেভ গার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে।
জানুয়ারির শেষে ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং উপভোগ করেছে বাংলা। শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রবিবারও অব্যাহত ছিল পারদ পতন। সোমবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। তবে, মঙ্গলবার ১২-র কাঁটা পেরিয়েছে তাপমাত্রা।
বুধবার থেকেই ধীরে ধীরে বদলাতে থাকে তাপমাত্রা। ওইদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ। সকালের আকাশে কুয়াশার প্রার্দুভাব থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যায়।
আশঙ্কা, আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার জন্য বিপদের বঙ্গের জলবায়ু। নতুন বছরে লেগেই থাকতে পারে, অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ সে সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গোটা রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খরার বিপদ দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী আগে রাজ্যপালের প্রশ্নে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন’