AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sehegal Hossain: আপাতত কিছুটা স্বস্তি সেহেগলের, ইডির আবেদন খারিজ দিল্লির আদালতের

Cattle Smuggling Case: গত ফেব্রুয়ারিতে এনামুল হককে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তিহার জেলে রয়েছেন এনামুল হক।

Sehegal Hossain: আপাতত কিছুটা স্বস্তি সেহেগলের, ইডির আবেদন খারিজ দিল্লির আদালতের
সায়গল হোসেন।
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 6:45 AM
Share

কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। সেই আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত। সোমবারই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। সায়গল হোসেনকে গরু পাচার মামলায় দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন খারিজ করল দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত। সায়গলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে সেখানকার আদালতে পেশ করার আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফের নতুন করে আবেদন করতে বলা হয়েছে ইডিকে। আদালতের এই নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি সায়গলের।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছিল, সায়গল হোসেনের ১০০ কোটির সম্পত্তি রয়েছে। তিনি একজন রাজ্য পুলিশের সাধারণ কনস্টেবল। কীভাবে একজন সরকারি কর্মীর এত টাকার সম্পত্তি হল, কী সেই টাকার উৎস জানতে মরিয়া ইডি। গরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনের ভূমিকা, গরুকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে সায়গলের যোগসূত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য ইডির হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর।

অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনকে জেরা করে আরও বড় কোনও তথ্যের খোঁজ মিলতে পারে বলে আশাবাদী ইডি। আপাতত আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন সায়গল। ১৪ দিনের জেল হেফাজতে আছেন তিনি। ইডি চাইছে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে। তবে সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দেন দিল্লির বিশেষ আদালতের বিচারক।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে এনামুল হককে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। সেখানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। আপাতত তিহার জেলে রয়েছেন এনামুল হক। ২০২০ সালে সিবিআই এনামুলকে গ্রেফতার করেছিল। সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের অভিযোগকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ময়দানে নামে। নানা তথ্যসূত্র থেকে উঠে আসে এনামুলের নাম। ইডির খাতায় এই এনামুলই গরুকাণ্ডের মূল পাণ্ডা। এই ঘটনায় বিএসএফ কর্তাদের একাংশের সহযোগিতাও তিনি পেয়েছেন বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি। এরপর তদন্ত আরও গতি বাড়িয়েছে।

গরু পাচার মামলায় একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই ও ইডি। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে। আপাতত জেল হেফাজতে তিনি। এমনও শোনা গিয়েছিল, অনুব্রতকেও দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার পরিকল্পনা রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। যদিও সোমবার সায়গল হোসেনের মামলার শুনানিতে কিছুটা ধাক্কা খেল ইডি।