কলকাতা: কোভিড (COVID-19) চিকিৎসায় প্যাথলজি-রেডিওলজি পরীক্ষার খরচ বেঁধে দিল স্বাস্থ্য কমিশন। জারি হল নির্দেশিকা। এর ফলে কোভিড চিকিৎসার খরচ অনেকখানি কমবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
কোভিডের প্রথম ঢেউ থেকেই বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে করোনা চিকিৎসার বিপুল খরচের অভিযোগ উঠে এসেছে। এমন নজিরও দেখা গিয়েছে, যা এই অতিমারিকালে না হলেই বোধহয় ভাল হতো। অনেকে অর্থের অভাবে ন্যূনতম পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত থেকেছেন।
শুধু প্রথম ঢেউই নয়, দ্বিতীয় ঢেউয়েও একই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি নজরে এসেছে। বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার এমনও বলা হয়েছে, টাকা দিয়েও যথাযথ পরিষেবা পাননি কেউ কেউ।
এরপরই স্বাস্থ্য কমিশন দু’টি কমিটি তৈরি করে। মূলত কোভিডের জন্য কী কী টেস্ট প্রয়োজন হতে পারে এবং তার জন্য খরচ কতটা হতে পারে তা ঠিক করতেই এই কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু এরপরও অভিযোগ ওঠে, সেই কমিটির গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি স্বেচ্ছাচারিতা করেই চলেছে। এর কারণ হিসাবে অনেকেই মনে করেন, কোনও লিখিত নির্দেশিকা না থাকায় তা মানা হয়নি।
এরপরই শুক্রবার একেবারে লিখিত আকারে নতুন নির্দেশিকা এল। যেখানে রেডিওলজিক্যাল টেস্টের খরচ ও প্যাথলজিক্যাল টেস্টের খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রেডিওলজিক্যাল টেস্ট যেমন বুকের এক্সরে, ইউএসজি, সিটি পালমোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফির মতো কোভিডকালে প্রয়োজনীয় টেস্টের খরচ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও পাটাতন ফেটে হু হু করে জল ট্রলারে, অথৈ সাগরে ১৩ মৎস্যজীবী
প্যাথলজিক্যাল ক্ষেত্রেও আইএল-৬, ডি-ডাইমার, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড পরীক্ষার খরচের তালিকা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তবে একইসঙ্গে এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত ক্লিনিকের ১৫০ শয্যার উপরে ব্যবস্থা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকবে এই মুহূর্তে তারা যা টাকা নিচ্ছে তার বেশি বাড়াতে পারবে না।