কলকাতা: বিধানসভায় ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা তাঁর। সেই ১৯৭১ সালে প্রথমবার বিধান ভবনে পা রেখেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু শুক্রবার বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে থেকেই বিধানসভায় যে যে ঘটনা ঘটল, তা অতীতে কখনও ঘটেছে কি না স্মরণ করতে পারছেন না বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় আজকের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে সুব্রতবাবু বলেন, “আজ যা হল তা আগে দেখিনি।”
রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী তথা বালিগঞ্জের বিধায়কের কথায়, “আমরা আগেও বেরিয়ে যেতে (বিরোধীদের ওয়াকআউট) দেখেছি। কিন্তু আজ যা হল তা আগে দেখিনি, প্রথমবার দেখলাম। যিনি পড়ছেন আর যাঁরা শুনছেন, দু’জনের মধ্যেই বেরিয়ে যাওয়ার প্ল্যান এর আগে দেখিনি।” বিষয়টি দুপক্ষই পুরোপুরি পরিকল্পনামাফিক করেছে বলেও এ দিন দাবি করেছেন সুব্রত।
প্রথাগতভাবে, রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যে দিয়েই শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। কিন্তু এ দিন রাজ্যপাল বিধানসভায় ভাষণ শুরু করার প্রথম মিনিট থেকেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির বিধায়কেরা। বিজেপির তুমুল বিক্ষোভের জেরে শুরুতেই ভাষণ বন্ধ করে দেন রাজ্যপাল। মাত্র ৪ মিনিট ভাষণ পড়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু না ঢুকলে তুষার মেহতার বাড়িতে কি বেড়াল ঢুকেছিল?’ জানতে চান পার্থ
মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়া ভাষণের খসড়ায় এমন কিছু বিষয়ের উল্লেখ ছিল যা নিয়ে আগে থেকেই একমত ছিলেন ছিলেন না রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, রাজ্যের তরফে যে ভাষণ পাঠ করার জন্য রাজ্যপালকে দেওয়া হয়েছিল সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রকৃত প্রতিফলন ছিল না। তৃণমূলের একাংশের নেতারা মনে করছেন, দুই পক্ষের অপচ্ছন্দের ভাষণ যাতে না পাঠ করতে হয় তাই ইচ্ছে করেই হট্টগোল করেছে বিজেপি। রাজ্যের শাসকদল যদিও জানাচ্ছে, রাজ্যপাল পুরো ভাষণই পাঠ করেছেন।
আরও পড়ুন: মুকুলকে ‘নির্লজ্জ’ তোপ, ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’ দেওয়ার হুমকি দিলীপের