কলকাতা: প্রশান্ত কিশোরকে ভোটকুশলী হিসেবে মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের প্রথম দফার আগে টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন তৃণমূলনেত্রী। অতীতে প্রশান্ত কিশোরের টিমকে তৃণমূলের হয়েও কাজ করতে দেখা গিয়েছে। তবে মমতার কথায়, ‘এরা কোনও ভোটকুশলী নয়, এরা হল পেশাদার। যাদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে রাজনৈতিক দলগুলি।’ তাঁর মতে, আজকের দিনে দেশে এমন অনেক সংস্থা আছে, যারা এই ধরনের কাজ করে। যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানে কাজ করতে পারে।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত নিজের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেছেন প্রশান্ত কিশোর। পিটিআইকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে পিকের মুখে উঠে এসেছে বাংলার রাজনীতির সমীকরণের কথাও। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপিকেই এগিয়ে রেখেছেন তিনি। অথচ, এই প্রশান্ত কিশোরের টিমই এককালে বাংলার রাজনীতির পরিসরে তৃণমূলের হয়ে কাজ করে গিয়েছে। পিকের সাম্প্রতিক এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কুণাল ঘোষও একেবারে মোক্ষম বিঁধেছিলেন। বিজেপিকে ‘তেল দিতেই’ প্রশান্ত কিশোর এসব বলছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন কুণাল।
টিভি নাইন বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ পিকে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘উনি শুধু পরামর্শদাতা থাকলে এসব ভুলভাল কথা বলতেন না। কিন্তু, ওনার রাজনৈতিক নেতা হওয়ার উচ্চাশা জাগল। ফলে উনি দল করে গেলেন। হালে পানি পাচ্ছেন না। বিজেপিকে পুজো দিতে হবে। সেই রাজনীতির সমীকরণে উনি বিজেপিকে তেল দিয়ে কথা বলছেন।’
প্রশান্ত কিশোর প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গে পিকের কাজের কথা তুলে ধরেন মমতা। বললেন, ‘ওরা তো আগে চন্দ্রবাবু নাইডুর হয়ে কাজ করেছে। তার আগের বার জগনের হয়েও কাজ করেছে। এবার তো বিজেপি-চন্দ্রবাবু নাইডুর জোটের হয়েও কাজ করছে।’ ফলে, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের পক্ষে মন্তব্য করবেন কি, করবেন না… সেটা নিয়ে যে তিনি একেবারেই বিচলিত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে এটাও বলেন, ‘তাঁর নিশ্চয়ই কিছু আছে। সে জন্যই বিজেপির পক্ষে বলতে হচ্ছে।’
তাঁর কথায়, এই ধরনের কোনও সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে ডেটা দিতে পারে। প্রচারে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের সংস্থাগুলি কোনও দলের নীতি নির্ধারক নয় বলেই মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বললেন, ‘এদের সঙ্গে মানুষের সরাসরি কোনও যোগ নেই। সেই কারণেই রাজনীতিকদের প্রয়োজন।’
কলকাতা: প্রশান্ত কিশোরকে ভোটকুশলী হিসেবে মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের প্রথম দফার আগে টিভি নাইন বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন তৃণমূলনেত্রী। অতীতে প্রশান্ত কিশোরের টিমকে তৃণমূলের হয়েও কাজ করতে দেখা গিয়েছে। তবে মমতার কথায়, ‘এরা কোনও ভোটকুশলী নয়, এরা হল পেশাদার। যাদের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে রাজনৈতিক দলগুলি।’ তাঁর মতে, আজকের দিনে দেশে এমন অনেক সংস্থা আছে, যারা এই ধরনের কাজ করে। যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানে কাজ করতে পারে।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের মুখে সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত নিজের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেছেন প্রশান্ত কিশোর। পিটিআইকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে পিকের মুখে উঠে এসেছে বাংলার রাজনীতির সমীকরণের কথাও। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপিকেই এগিয়ে রেখেছেন তিনি। অথচ, এই প্রশান্ত কিশোরের টিমই এককালে বাংলার রাজনীতির পরিসরে তৃণমূলের হয়ে কাজ করে গিয়েছে। পিকের সাম্প্রতিক এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কুণাল ঘোষও একেবারে মোক্ষম বিঁধেছিলেন। বিজেপিকে ‘তেল দিতেই’ প্রশান্ত কিশোর এসব বলছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন কুণাল।
টিভি নাইন বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে কুণাল ঘোষ পিকে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘উনি শুধু পরামর্শদাতা থাকলে এসব ভুলভাল কথা বলতেন না। কিন্তু, ওনার রাজনৈতিক নেতা হওয়ার উচ্চাশা জাগল। ফলে উনি দল করে গেলেন। হালে পানি পাচ্ছেন না। বিজেপিকে পুজো দিতে হবে। সেই রাজনীতির সমীকরণে উনি বিজেপিকে তেল দিয়ে কথা বলছেন।’
প্রশান্ত কিশোর প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের সঙ্গে পিকের কাজের কথা তুলে ধরেন মমতা। বললেন, ‘ওরা তো আগে চন্দ্রবাবু নাইডুর হয়ে কাজ করেছে। তার আগের বার জগনের হয়েও কাজ করেছে। এবার তো বিজেপি-চন্দ্রবাবু নাইডুর জোটের হয়েও কাজ করছে।’ ফলে, প্রশান্ত কিশোর তৃণমূলের পক্ষে মন্তব্য করবেন কি, করবেন না… সেটা নিয়ে যে তিনি একেবারেই বিচলিত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে এটাও বলেন, ‘তাঁর নিশ্চয়ই কিছু আছে। সে জন্যই বিজেপির পক্ষে বলতে হচ্ছে।’
তাঁর কথায়, এই ধরনের কোনও সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে ডেটা দিতে পারে। প্রচারে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু এই ধরনের সংস্থাগুলি কোনও দলের নীতি নির্ধারক নয় বলেই মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বললেন, ‘এদের সঙ্গে মানুষের সরাসরি কোনও যোগ নেই। সেই কারণেই রাজনীতিকদের প্রয়োজন।’