Mamata Banerjee slams Governor: ‘জলপানের জন্য টাকার প্রয়োজন? ব্যবস্থা করে দিতে পারি’, বোসকে কটাক্ষ মমতার

Mamata Banerjee slams Governor: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "নিট নিয়ে জরিমানা হয় না। যারা ডাকাত, তাদের জরিমান হয় না। এই জরিমানার টাকা কাকে দেবেন? কিছু ধার-বাকি রয়েছে? আপনার জলপানের জন্য টাকার দরকার হলে, সে ব্যবস্থা করে দিতে পারি।"

Mamata Banerjee slams Governor: 'জলপানের জন্য টাকার প্রয়োজন? ব্যবস্থা করে দিতে পারি', বোসকে কটাক্ষ মমতার
বিধানসভার অধিবেশন থেকে সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2024 | 9:41 PM

কলকাতা: নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ নিয়ে টানাপোড়েন। বিধানসভার অধিবেশন থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সঠিকভাবে শপথ না নিয়ে অধিবেশনে যোগ দিলে জরিমানা দিতে হতে পারে দুই বিধায়ককে। রাজ্যপালের এই চিঠি নিয়ে অধিবেশন থেকেই কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে নতুন বিধায়কদের শপথ যে বিধানসভার রীতি মেনে হয়েছে, সেকথাও বললেন।

বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেনের শপথ নিয়ে প্রায় এক মাস টানাপোড়েন চলেছে। অবশেষে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ বাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। কিন্তু, স্পিকারের উপস্থিতিতে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারবেন না জানিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দুই বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করানোর অনুরোধ জানান ডেপুটি স্পিকার। সায়ন্তিকা ও রেয়াতকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। গতকাল রাজ্যপাল দুই বিধায়ককে চিঠি পাঠিয়েছেন। জানিয়েছেন, সঠিকভাবে শপথ না নিয়ে অধিবেশনে যোগ দিলে সংবিধান অনুসারে প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে জরিমানা দিতে হতে পারে দুই বিধায়ককে।

রাজ্যপালের এই চিঠি নিয়ে এদিন অধিবেশনে সরব হন মমতা। এদিন নবনির্বাচিত চার বিধায়ককেও শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার। তারপরই বলতে উঠতে সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিট নিয়ে জরিমানা হয় না। যারা ডাকাত, তাদের জরিমান হয় না। এই জরিমানার টাকা কাকে দেবেন? কিছু ধার-বাকি রয়েছে? আপনার জলপানের জন্য টাকার দরকার হলে, সে ব্যবস্থা আমি করে দিতে পারি।”

রাজ্যপালকে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “রাজভবন মনোনীত। বিধানসভা নির্বাচিত। আপনি লাইনে চলুন। বেলাইন হবেন না। অধিবেশন চলাকালীন আপনি আসতে পারেন। দিল্লিতে বসে না থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে অ্যাসেম্বলি ছুঁয়ে যেতে পারেন।”

বিধায়কদের শপথ নিয়ে স্পিকারের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিধানসভার রীতি অনুসারে শপথ হয়েছে। ডেপুটি স্পিকার তো স্পিকার সম্মান জানিয়েছেন। বলেছেন, স্পিকার উপস্থিত থাকতে আমি শপথ বাক্য পাঠ করাব না।”

একইসঙ্গে নতুন বিধায়কদের শপথ নিয়ে জটিলতার জন্য রাজ্যপালের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজন নতুন সদস্যকে বলছেন জরিমানা দিতে হবে। উৎসাহ দেওয়ার বদলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ার কথা বলছেন। এটা গণতন্ত্রে হতে পারে না।”

মুখ্যমন্ত্রী যখন অধিবেশন কক্ষে বক্তব্য রাখছেন, সেইসময় বিজেপির কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। এদিন নতুন চার বিধায়কের শপথ অসাংবিধানিক জানিয়ে প্রথমে বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা। বিজেপি বিধায়করা যখন অধিবেশন কক্ষে ঢুকছেন, তখন নিজের বক্তব্য শেষে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।