ED Raid: কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযান নিয়ে প্রশ্ন ফিরহাদের, পাল্টা সরব সুজন-শমীকরা
ED Raid: ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, আমির খান পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এদিন তাঁর বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
কলকাতা: চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল দু’দফায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকেও উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে নগদ। অন্যদিকে মালদহের এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি টাকা উদ্ধারের খবর সামনে আসে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন গার্ডেনরিচের আমির খানের বাড়ি। তাঁর বাড়ির খাটের তলা থেকে শনিবার উদ্ধার হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। স্বভাবতই এই ঘটনাকে সামনে রেখে জোরাল রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে যে এলাকায় এই ঘটনা শনিবার ঘটেছে, সেই গার্ডেনরিচ কলকাতা বন্দর বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে। যার বিধায়ক কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই অভিযান রাজ্যের অর্থনীতিতে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে হচ্ছে। পাল্টা সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপির শমীক ভট্টাচার্যরা সোচ্চার হন। প্রশ্ন তোলেন, পরিবহণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হওয়ায় প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রীর কপালে ভাঁজ কেন?
ইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, আমির খান পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। এদিন তাঁর বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার ঘিরে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। যদিও ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “আইটি রেইড, ইডি রেইড করে একটা বার্তা দিতে চাইছে, বাংলায় ব্যবসা কোরো না। ব্যবসা করতে গেলে আমাদের রাজ্যে চলে এসো। বাংলায় থাকলে ব্যবসায়ীদের আমরা এভাবে আক্রমণ করব। বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা বলে আমার মনে হয়। এর আগেও কতগুলো আইটি রেইড হল বিল্ডিং হাউজে। কিছুই পেল না।”
এরই পাল্টা সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “নিসার খান না কী নাম, গার্ডেনরিচ, পরিবহণ ব্যবসায়ী বলা হচ্ছে। তাঁর বাড়ি থেকে নাকি কোটি কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। কোটির নীচে গল্পই নেই। মাদক ব্যবসায়ী, সেখানেও কয়েক কোটি। অনুব্রত কোটি কোটি, পার্থবাবু এবং তাঁর বন্ধু বান্ধব আপাতত একজন তাতে ৫০ কোটি। পরিবহণ মন্ত্রী যিনি ছিলেন তাঁর নাম ফিরহাদ হাকিম। এখন কী একজন চক্রবর্তী মন্ত্রী হয়েছেন। তা পরিবহণ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ নাকি নিসার খান।”
সুর চড়ান বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। শমীক বলেন, “এতদিন পর্যন্ত গরু, কয়লা শুনেছি। এবার এল চাইনিজ খেলাকে নিয়ে কোটি কোটি টাকা। চিনা অ্যাপের মাধ্যমে শুধু প্রতারণা হচ্ছে না, সিন্ডিকেট চালান পরিবহণ ব্যবসায়। হঠাৎ ফিরহাদ হাকিম কী বলছেন? কেন বলছেন? এইভাবে প্রতারণার ব্যবসাকে কি সমর্থন করেন? ফিরহাদের বক্তব্য মনে হচ্ছে, প্রভাবশালীদের টাকা আছে সিন্ডিকেটে টাকা আছে।”