Health department: ৭ সদস্যের গ্রিভান্স সেল রাজ্যের, মাথায় শান্তনু ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক
Health department: চিকিৎসক তথা ভিজিটিং কনসালট্যান্ট, প্রফেসর , অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সেল। গ্রিভান্স সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালট্যান্ট সৌরভ দত্তকে। এছাড়াও ওই গ্রিভান্স সেলে রয়েছেন ৬ চিকিৎসক।
সৌরভ দত্ত
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ভবনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় রাজ্য স্তরে গ্রিভান্স সেল গঠন করল সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো এই গ্রিভান্স সেল গঠন নিয়ে মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে রোগীর পরিজনেরা অভিযোগ জানাতে পারবেন এই গ্রিভান্স সেলের মাধ্যমে। ৭ সদস্যের এই গ্রিভান্স সেলের মাথায় রাখা হয়েছে শান্তনু সেন ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক সৌরভ দত্তকে।
চিকিৎসক তথা ভিজিটিং কনসালট্যান্ট, প্রফেসর , অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সেল। গ্রিভান্স সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালট্যান্ট সৌরভ দত্তকে। এছাড়াও ওই গ্রিভান্স সেলে রয়েছেন ৬ চিকিৎসক। দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়, যোগীরাজ রায়, সঞ্জীব চক্রবর্তী, কবিরাজ রায়, দেবব্রত দাস এবং স্মার্ত পুলাই। এই সেলের অফিস হবে স্বাস্থ্য ভবনে।
আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উত্তরবঙ্গ লবির কথা শোনা যায়। চিকিৎসক মহলের একাংশ বলছেন, চিকিৎসক তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন এই উত্তরবঙ্গ লবির জন্য কোণঠাসা ছিলেন। আরজি কর কাণ্ডের পর বিভিন্ন অভিযোগে সরব হন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত চিকিৎসক সৌরভ দত্তকে গ্রিভান্স সেলের চেয়ারম্যান করা হল। ঘটনাচক্রে গ্রিভান্স সেলের সাত সদস্যই আরজি কর কাণ্ডের পর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে সরব ছিলেন।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিষেবা-কর্মপদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ-অভিযোগ জানানো যাবে এই গ্রিভান্স সেলে। প্রশ্ন উঠছে, তিলোত্তমা কাণ্ডে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যে কি সংস্কার শুরু হল?
গ্রিভান্স সেলের চেয়ারম্যান চিকিৎসক সৌরভ দত্ত বলেন, “আমি অনেককেই দেখতে পাচ্ছি কমিটিতে, স্বাস্থ্যে তিন বছর ধরে যে সিন্ডিকেট চলছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে গিয়েছেন। আমার মনে হয় প্রশাসনের সবাই অনুধাবন করেছেন, এই সিন্ডিকেট স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি করেছে। নিশ্চয়ই সেটা সংশোধনের পথে যাবে।”