কলকাতা : রাজ্যপালের (West Bengal Governor Jagdeep Dhankhar) ডাকা বৈঠকে গরহাজির উপাচার্যরা (Vice Chancellors)। গরহাজির ১১ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Private Universities) উপাচার্য। সোমবার বিকেল ৩ টেয় তাঁদের বৈঠকের জন্য ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু ওমিক্রনের (Omicron Variant) কারণ দেখিয়ে গরহাজির রাজ্যের ১১ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে উপাচার্যরা রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এ ক্ষেত্রেও আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
উপাচার্যরা বৈঠকে উপস্থিত না থাকার কারণ হিসেবে ওমিক্রনের কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল আগেই টুইট করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। সেখানে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, তিনি ২০ ডিসেম্বর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের ডেকেছেন। রাজ্যপাল ভিজিটর হিসেবে তাঁদের ডেকেছিলেন। কিন্তু দেখা যায়, উপাচার্যরা কেউই যাননি।
Taking exception to stance of Pvt.Univ Chancellors & VCs @AdamasUniversi1 @AmityUni @BrainwareTweet @jis_university @TnuEdu @E_Learning_SSU @snuindia @sxukolkata @svu_official @IIC_TIU @csatyajit that they will not attend Dec 20 meeting Governor has rescheduled meeting for Dec23. pic.twitter.com/0xCV6nMvRO
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 20, 2021
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের কারণেই উপাচার্যরা বৈঠকে যাননি। কিন্তু এর আগেও দেখা গিয়েছে, লাগাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে যখন রাজ্যপাল দেখা করার কথা বলেছেন, তখন, অনেকক্ষেত্রেই সেই সাক্ষাৎ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সঙ্গে উপাচার্যদের মতানৈক্যও ধরা পড়েছে।
এদিকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপাচার্যদের অনুপস্থিতির পর আজকের ডাকা ওই বৈঠকের দিনক্ষণ পরিবর্তন করেছেন রাজ্য়পাল। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পুনরায় বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বরের লেখা চিঠি রাজভবনে এসে পৌঁছছে ২০ ডিসেম্বর বিকেলে। অর্থাৎ, বৈঠকের দিন বিকেলে সেই চিঠি এসেছে। আর এরপরই উপাচার্যদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
রাজ্যপালের বক্তব্য, যে কারণ উপাচার্যরা দেখিয়েছেন, তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। উপাচার্য আচর্যদের লেখা চিঠির বিষয়বস্তু ও সময়কে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা রাজ্যপালের। রাজ্যপালের বক্তব্য, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে এই রাজ্যে যে ভয় রয়েছে তার প্রকাশ এই চিঠি।