Unnatural Death: তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ফের শিরোনামে হরিদেবপুরের ডায়মন্ড সিটির আবাসন

Unnatural Death: হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ডায়মন্ড সিটি সাউথের তিন নম্বর টাওয়ারের ১৪ তলা থেকে ওই ডাক্তারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Unnatural Death: তরুণী চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ফের শিরোনামে হরিদেবপুরের ডায়মন্ড সিটির আবাসন
চিকিৎসক দেবিকা চট্টোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2022 | 9:14 PM

কলকাতা: কিছুদিন আগেই শিরোনামে এসেছিল টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসন। ‘সৌজন্যে’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল এখানকার একটি ফ্ল্যাট থেকে। এবার এই আবাসনেরই একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত ডায়মন্ড সিটি সাউথের তিন নম্বর টাওয়ারের ১৪ তলা থেকে ওই ডাক্তারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম দেবিকা চট্টোপাধ্যায় (৩৩)। আলিপুরের একটি বেসরকারি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়েও করেন দেবিকা। তবে পরে স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর থেকে বাবা, মায়ের সঙ্গে হরিদেবপুরের এই অভিজাত আবাসনে থাকতেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। সকালে মেয়ের ঘরের দরজায় বারবার ধাক্কা দিলেও ওদিক থেকে কোনও সাড়াশব্দ আসেনি। এরপরই মা, বাবার সন্দেহ হয়। উদ্বেগে দরজা ভাঙতে শুরু করেন। দরজা ভেঙেই ভিতরে ঢুকে দেখেন মেয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেবিকা চট্টোপাধ্যায়ের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। তবে সেখানে এই মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করে যাননি ওই তরুণী চিকিৎসক। এরপরই হরিদেবপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। পাশাপাশি পরিবারের লোকের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথাও বলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদ থেকে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন দেবিকা। যদিও সবদিক খোলা রেখেই হরিদেবপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

মানসিক অবসাদ এখন যেন রোজকার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন নিয়ে যাঁরা নিয়মিত পড়াশোনা করছেন, তাঁদের পরামর্শ, যে কোনও অবসাদ (Stress) কাটিয়ে উঠতে সেই পরিবেশ থেকে আগে বেরিয়ে আসা দরকার। খুঁজে বের করতে হবে, ঠিক কেন ভারী হচ্ছে মন। তারপর সেই বোঝা ধীরে ধীরে নামিয়ে ফেলার পরামর্শই দিচ্ছেন মনের চিকিৎসকরা।