কলকাতা: বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরদিনই তৃণমূলে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর এই যোগদান যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলে লকেটকে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ও নতুন করে রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন? লকেট অবশ্য ইতিমধ্যেই বলেছেন, এসব একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। এমনকী জয়প্রকাশ যে পরদিনই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তা তিনি জানতেনও না। তবে টিভিনাইন বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বহু বিজেপি নেতাই দলের অন্দরে দমবন্ধ করে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ উল্লেখ করেন সেইসব নেতার কথা, যাঁরা তাঁর সঙ্গে সেদিনের বৈঠকে ছিলেন। তবে লকেটের দল বদলের বিষয় নিয়ে সংশয় রয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারের। তাঁর পর্যবেক্ষণ, লকেট সাংসদ। সাংসদপদ রক্ষার একটা তাগিদ রয়েছে লকেটের।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বিজেপি কর্মীদের কথা তো বাদই দিচ্ছি, এমন বহু বিজেপি নেতা-নেত্রী আছেন, যাঁরা দলে মানসিকভাবে অসুখী। নিজের ছায়াকেও অবিশ্বাস করছেন। বর্তমানে বিজেপিতে উন্মুক্ত বাতাস নেই। আক্ষেপগ্রস্ত বহু নেতানেত্রী, বিশেষ করে যাঁরা আমার সঙ্গে বসেছিলেন তাঁরা তো বটেই! তবে ক’জন পদক্ষেপ করবে এই আক্ষেপ নিরসনের জন্য সেটা বলতে পারব না।”
এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশের সংযোজন, তাঁদের বৈঠকের আগে বিজেপি যে চিন্তন বৈঠক করেছিল সেখানে লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বকে আত্মসমালোচনার পরামর্শ দেন। জয়প্রকাশের কথায়,” লকেট বলেছিলেন, শুধু সন্ত্রাস বললে হবে না। ১০৮ পুরসভা, ৪ পুরনিগমে শূন্য পাওয়াকে শুধু সন্ত্রাস দিয়ে পাশ কাটালে হবে না। বহু জায়গা আছে, যেখানে কোনও সন্ত্রাস হয়নি। সিপিএমও ভাল ফল করেছে, অনেক জায়গায় কংগ্রেস ভাল করেছে, অথচ বিজেপি পারল না।”
লকেটের এই বক্তব্য নিয়েও দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কটাক্ষ করেছেন বলে দাবি করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “লকেট দলের ভিতরে বলেছিল। যদিও মিডিয়ায় সেটা খবর হয়। অথচ পরদিন দিলীপবাবু প্রকাশ্যে বললেন, ‘ও তো আত্মসমালোচনা করেনি, পরনিন্দা পরচর্চা করেছে’। লকেটকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এখানকার এসব নির্বাচনে ও ছিল কোথায়’? লকেট খুব আহত হয়। তবে ভাবনাচিন্তা করছে কি না জানি না। ওনার সাংসদপদ আছে তো। ভারতে তো আছে দলত্যাগ করলে তাঁর…। ক্ষোভ আছে অনেকেরই, তবে ক্ষোভ নিরসনে পদক্ষেপ ক’জন করবেন তা একটা কথা।”
একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের আগেরদিন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ” আমি তো ওই মিটিং ডাকিনি। গোপন মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে গেছি। বিজেপির কী সমস্যা, কী হলে কী হতে পারে বলেছি। আমাকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ডেড লেখা হয় বিজেপির চিঠিতে। এখানেই আমার আপত্তি। সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে বিজেপি চিঠিতে লিখল। এটা আমার কাছে অপ্রীতিকর একটা শব্দ। আমরা একটা রাজনৈতিক দলে যোগ দিই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে। সেখানে বহিষ্কার করা হতে পারে! আমি সেখানে চাকরি করি না যে বরখাস্ত হতে পারে। আমি জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। দ্বিতীয়ত, বিজেপি যে ডিসিপ্লিনারি কমিটির কথা বলে আমাকে চিঠি দিচ্ছে, সে সময় বিজেপিতে এই কমিটি বলে বস্তুটাই নেই। সেটা নিয়ে আমি অনেক জায়গায় অনেক কথা বলেছি। তবে যা বলেছি বরখাস্ত হওয়ার পর। তার আগে একটা কথাও বলিনি।”
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: বারবার দল বদল কেন? কারণ খোলসা করলেন জয়প্রকাশ
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: কোথায় ‘অসুখ’? বঙ্গ বিজেপির গোপন তথ্য ফাঁস করলেন জয়প্রকাশ!
কলকাতা: বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরদিনই তৃণমূলে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর এই যোগদান যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলে লকেটকে। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তবে কি এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ও নতুন করে রাজনৈতিক অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন? লকেট অবশ্য ইতিমধ্যেই বলেছেন, এসব একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। এমনকী জয়প্রকাশ যে পরদিনই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন তা তিনি জানতেনও না। তবে টিভিনাইন বাংলার ‘কথাবার্তা’ অনুষ্ঠানে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, বহু বিজেপি নেতাই দলের অন্দরে দমবন্ধ করে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ উল্লেখ করেন সেইসব নেতার কথা, যাঁরা তাঁর সঙ্গে সেদিনের বৈঠকে ছিলেন। তবে লকেটের দল বদলের বিষয় নিয়ে সংশয় রয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদারের। তাঁর পর্যবেক্ষণ, লকেট সাংসদ। সাংসদপদ রক্ষার একটা তাগিদ রয়েছে লকেটের।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “বিজেপি কর্মীদের কথা তো বাদই দিচ্ছি, এমন বহু বিজেপি নেতা-নেত্রী আছেন, যাঁরা দলে মানসিকভাবে অসুখী। নিজের ছায়াকেও অবিশ্বাস করছেন। বর্তমানে বিজেপিতে উন্মুক্ত বাতাস নেই। আক্ষেপগ্রস্ত বহু নেতানেত্রী, বিশেষ করে যাঁরা আমার সঙ্গে বসেছিলেন তাঁরা তো বটেই! তবে ক’জন পদক্ষেপ করবে এই আক্ষেপ নিরসনের জন্য সেটা বলতে পারব না।”
এ প্রসঙ্গে জয়প্রকাশের সংযোজন, তাঁদের বৈঠকের আগে বিজেপি যে চিন্তন বৈঠক করেছিল সেখানে লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বকে আত্মসমালোচনার পরামর্শ দেন। জয়প্রকাশের কথায়,” লকেট বলেছিলেন, শুধু সন্ত্রাস বললে হবে না। ১০৮ পুরসভা, ৪ পুরনিগমে শূন্য পাওয়াকে শুধু সন্ত্রাস দিয়ে পাশ কাটালে হবে না। বহু জায়গা আছে, যেখানে কোনও সন্ত্রাস হয়নি। সিপিএমও ভাল ফল করেছে, অনেক জায়গায় কংগ্রেস ভাল করেছে, অথচ বিজেপি পারল না।”
লকেটের এই বক্তব্য নিয়েও দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি কটাক্ষ করেছেন বলে দাবি করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেন, “লকেট দলের ভিতরে বলেছিল। যদিও মিডিয়ায় সেটা খবর হয়। অথচ পরদিন দিলীপবাবু প্রকাশ্যে বললেন, ‘ও তো আত্মসমালোচনা করেনি, পরনিন্দা পরচর্চা করেছে’। লকেটকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এখানকার এসব নির্বাচনে ও ছিল কোথায়’? লকেট খুব আহত হয়। তবে ভাবনাচিন্তা করছে কি না জানি না। ওনার সাংসদপদ আছে তো। ভারতে তো আছে দলত্যাগ করলে তাঁর…। ক্ষোভ আছে অনেকেরই, তবে ক্ষোভ নিরসনে পদক্ষেপ ক’জন করবেন তা একটা কথা।”
একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগদানের আগেরদিন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ” আমি তো ওই মিটিং ডাকিনি। গোপন মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে গেছি। বিজেপির কী সমস্যা, কী হলে কী হতে পারে বলেছি। আমাকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ডেড লেখা হয় বিজেপির চিঠিতে। এখানেই আমার আপত্তি। সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে বিজেপি চিঠিতে লিখল। এটা আমার কাছে অপ্রীতিকর একটা শব্দ। আমরা একটা রাজনৈতিক দলে যোগ দিই স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে। সেখানে বহিষ্কার করা হতে পারে! আমি সেখানে চাকরি করি না যে বরখাস্ত হতে পারে। আমি জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। দ্বিতীয়ত, বিজেপি যে ডিসিপ্লিনারি কমিটির কথা বলে আমাকে চিঠি দিচ্ছে, সে সময় বিজেপিতে এই কমিটি বলে বস্তুটাই নেই। সেটা নিয়ে আমি অনেক জায়গায় অনেক কথা বলেছি। তবে যা বলেছি বরখাস্ত হওয়ার পর। তার আগে একটা কথাও বলিনি।”
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: বারবার দল বদল কেন? কারণ খোলসা করলেন জয়প্রকাশ
আরও পড়ুন: Jayprakash Majumdar Exclusive Interview: কোথায় ‘অসুখ’? বঙ্গ বিজেপির গোপন তথ্য ফাঁস করলেন জয়প্রকাশ!