Mamata Banerjee: ১৯ শিশুর মৃত্যু, ৬ জনের অ্যাডিনো, বাকি ১৩-র কোমর্বিডিটি : মমতা

Nabanna: নবান্নের তরফে ২৪X৭ একটি হেল্পলাইন নম্বরও (১৮০০৩১৩৪৪৪২২) ঘোষণা করা হয়।

Mamata Banerjee: ১৯ শিশুর মৃত্যু, ৬ জনের অ্যাডিনো, বাকি ১৩-র কোমর্বিডিটি : মমতা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 06, 2023 | 6:06 PM

কলকাতা: এখনও অবধি ১৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৬ জনের মৃত্যুর কারণ অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenoviruses)। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ৬ জনের অ্যাডিনোয় মৃত্যু হয়েছে, ১৩ জনের শরীরে কোমর্বিডিটি ছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি। মমতা বলেন, “কোভিডের পর কোনও অসুখ হলে আমরা ভয় পাই। কোভিডের পর একটা দেখা যাচ্ছে, যে কোনও বয়সে তা হচ্ছে। ৫ বছর পর্যন্ত সমস্যা হচ্ছে। সব রাজ্যেই এটা হচ্ছে। আমি চাই না কোনও পিতা মাতার কোল খালি হোক।”

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখনও ১৯ জন মারা গিয়েছে। ১৩ জনের কোমর্বিডিটি ছিল। অনেক বাচ্চার হার্টে ফুটো থাকে, ফুসফুসে সমস্যা থাকে। ৬ জন অ্যাডিনোতে মারা গিয়েছে। আমিও বাচ্চাদের খুব ভালবাসি। যে কোন বাচ্চা হারালেই কষ্ট পাই।”

মমতার পরামর্শ, “বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। বড়রা দয়া করে মাস্ক ব্যবহার করুন।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, দূর দূরান্ত থেকে বাচ্চা নিয়ে কলকাতায় আসছেন মা-বাবা। মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলা থেকে আসতে অনেকটা সময় লাগে। তার আগে বাচ্চাদের অক্সিজেন দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। টেলি মেডিসিনে যোগাযোগের কথাও বলেন তিনি। জেলা থেকে আনার সময় মেডিক্যাল সাপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চিতা জ্বলুক আমরা চাই না।”

এর আগে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, “ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের তৈরি। ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। করোনা যেহেতু প্যানিক হয়ে গিয়েছে। করোনার পর যে কোনও একটা ভাইরাস এলেই…। বাড়ির লোকজনকে যত্ন নিতে হবে। বাচ্চারা মাস্ক পরতে পারে না। ওদের উপর একটু বিশেষ নজর দিয়ে বাইরে যাতে না বেরোয়। ঘরে রাখাটাই ভাল।” নবান্নের তরফে ২৪X৭ একটি হেল্পলাইন নম্বরও (১৮০০৩১৩৪৪৪২২) ঘোষণা করা হয়। তবে বেসরকারি সূত্রে খবর, জ্বর-সর্দি-শ্বাসকষ্টে গত ১০ দিনে ৪৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তথ্য আরও বলছে, জানুয়ারি থেকে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্র মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে সংখ্যাটা ১০১।