KMC Budget: কাজ শেষ করে রিপোর্ট দিলে তবেই বাকি টাকা, কোষাগারে চাপ কমাতে কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকা
KMC: ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়ে ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪১০ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। বাজেট ঘাটতি ১৭৭ কোটি টাকা।
কলকাতা: অর্থসঙ্কট অক্টোপাসের মত জড়িয়ে ধরেছে কলকাতা পুরনিগমের কোষাগারকে। তাই বাজেট পেশ করেও আগামী অর্থবর্ষের খরচের মাত্রা নির্দিষ্ট করে দিল পুরনিগম। ২০২২-২৩ বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের উপরে নির্দেশিকা ঘোষণা করল কলকাতা পুরনিগম। পুর কমিশনার বিনোদ কুমারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুরসম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত (কোড নং-৪০০) এবং স্থায়ী সম্পদ (কোড নং-৮০০) তৈরির জন্য যে অর্থ বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে, তার মধ্যে ৬০ শতাংশের প্রাথমিক অনুমোদন কোষাগার থেকে দেওয়া হবে। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা আপাতত আটকে রাখা হচ্ছে। বরাদ্দকৃত ৬০ শতাংশ টাকায় বিভাগীয় কাজগুলি শেষ করে তার যাবতীয় নথি জমা দিলেই বাকি টাকা অনুমোদন করা হবে। কোষাগারের অবস্থা বুঝেই টাকা অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
২০২২-’২৩ অর্থবর্ষে রাজস্ব আদায়ে ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪১০ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। বাজেট ঘাটতি ১৭৭ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই আগামী আর্থিক বর্ষে বাজেটে বিভিন্ন বিভাগের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও, খরচের প্রশ্নে রাশ টেনে ধরল পুরপ্রশাসন। পুর কমিশনার সার্কুলার জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, দু’টি খাতে খরচের উপর আপাতত লাগাম টানা হবে। চলতি আর্থিক বর্ষের বাজেট পেশ হওয়ার সময় দেখা যায়, এই খরচে রাশ টানায় সুফলও মিলেছে। ঘাটতির পরিমাণ গত আর্থিক বর্ষের থেকে এবার অনেকটাই কমে গিয়েছে। তাই এবারও খরচের প্রশ্নে রাশ টেনে ধরা শ্রেয় বলে মনে করেছেন পুরকর্তারা।
পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত তিন-চার বছর আগেও বাজেটে বরাদ্দ করা অর্থের ১০০ শতাংশ খরচের উপরে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হত। কিন্তু তাতে দেখা গিয়েছে, পরবর্তী আর্থিকবর্ষে আয়-ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতি অনেকটাই বেড়ে যেত। যা নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হত অর্থ বিভাগের আধিকারিকদের। খরচের উপরে রাশ টেনে ধরায় সেই সমস্যা অনেকটাই কেটে গিয়েছে। ঘাটতিও অনেকটাই কমছে।
পুরনিগম সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে পুরনিগমের রাজস্ব আদায়ের মূল স্তম্ভগুলি থেকে টাকা আদায় কমে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে নজর না রাখলে বছরের শেষে প্রকল্পের জন্য টাকার জোগান দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। যার জেরে মাঝপথে কাজ স্থগিত করে দিতে হয়, অথবা আগামী আর্থিক বর্ষের বাজেটে বরাদ্দ অর্থের উপর ভরসা করতে হয়। সে কারণেই গত দু’-তিন বছর ধরে অর্থ ব্যয়ের উপরে লাগাম টানা জরুরি হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: WB CPIM: সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাজ্য কমিটিতে শতরূপ-মীনাক্ষী-সৃজন
আরও পড়ুন: Councillor Murder: দুই কাউন্সিলর ‘খুনের’ তদন্ত করুক সিবিআই, হাইকোর্টে দায়ের মামলা
আরও পড়ুন: Chit Fund Case: আচমকাই চিটফান্ড মামলা সরল বিচাপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ থেকে