Nabanna: পঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ, জানাতে জেলাশাসকদের চিঠি নবান্নর
Nabanna: পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে অধীরের করা মামলার প্রেক্ষিতে সব জেলাশাসককে চিঠি পাঠাল নবান্ন। নির্বাচনী অশান্তিতে কোন জেলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট পর্বে যেসব অশান্তি, গোলমাল, হিংসার অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যাঁরা অশান্তি ও হিংসার শিকার হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন তিনি। হাইকোর্টও গতকাল এক নির্দেশনামায় রাজ্যের থেকে হলফনামা চেয়েছে। ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে সেই হলফনামা জমা দিতে হবে আদালতে। এবার সেই হলফনামার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিল নবান্ন। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে অধীরের করা মামলার প্রেক্ষিতে সব জেলাশাসককে চিঠি পাঠাল নবান্ন। নির্বাচনী অশান্তিতে কোন জেলায় কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি হিংসায় অভিযুক্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তাও জানাতে হবে। যেসব এফআইআর দায়ের হয়েছে, সেগুলিও একত্রিত করে পাঠাতে বলা হয়েছে। কোন জেলায় কতজন জখম হয়েছেন, সেই তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি জেলার তালিকা স্বাস্থ্য দফতরেও পাঠাতে হবে যাতে প্রত্যেকের ঠিকঠাক চিকিৎসা হয়। যদি কোথাও অশান্তির কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাহলে তাঁর ক্ষতিপূরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতেও বলা হয়েছে।
নবান্নের তরফে ওই চিঠিতে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই হিংসা বা অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, রুট মার্চ, মাইকিং এসব ঠিকঠাকভাবে হয়েছে কি না, তাও উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের থাকার সঠিক বন্দোবস্ত হয়েছে কি না, তাও জেনে নিতে চায় রাজ্য। বাহিনী থাকার জন্য যাতে কোনও স্কুল বন্ধ করে রাখা না হয়, সেই বিষয়টির উপরে নজর দিচ্ছে রাজ্য। আদালতে যে সব ভিডিয়ো ও ছবি জমা পড়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদ মাধ্যমে যেসব ছবি উঠে এসেছে, সেগুলিরও ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।