West Bengal Panchayat Elections 2023:বাহিনী পেয়েও ‘টালবাহানা’ কমিশনের, কোন জেলায় কত সেনা, এখনও কাটল না ধোঁয়াশা
West Bengal Panchayat Elections 2023: সব জেলায় সম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন হবে না। ফলে সমানভাবে ভাগ করার ফরমুলা কাজ করবে না বলছেন বাহিনীর কো অর্ডিনেটরদের। কিন্তু কমিশন জেলা ভিত্তিক ভাগও করছে না।
কলকাতা: বাংলার নির্বাচনের নিরাপত্তায় আপাতত ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন নিয়ে কো-অর্ডিনেটরদের সঙ্গে রাজ্য ভোট কমিশনের প্রাথমিক কথা হয়েছে। কিন্তু কোন বাহিনী কোন জেলায় যাবে, তা কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো অর্ডিনেটরদের জানানো হয়নি। কারণ, ৩১৫ কোম্পানি মধ্যে রয়েছে ৬টি সরাসরি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে রয়েছে ১২টি রাজ্যের স্পেশ্যাল পুলিশ ফোর্স। ফলে ১৮টি পৃথক বাহিনী কোন জেলায় যাবে, তা ভাগ করে দিতে হবে কমিশনকেই। কিন্তু এখনও কমিশনের পক্ষ থেকে তা করা হয়নি বলে সূত্রের খবর।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সব জেলায় সম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন হবে না। ফলে সমানভাবে ভাগ করার ফর্মুলা কাজ করবে না বলে মনে করছেন কো অর্ডিনেটররাই। কিন্তু কমিশন জেলা ভিত্তিক ভাগও করছে না। তাই বাহিনীর ছাড়পত্র মিললেও ৩১৫ কোম্পানি মোতায়েন সেই আটকেই।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এক্ষেত্রে কমিশন হয়তো অযথা সময় নষ্ট করছে। এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনীর কো অর্ডিনেটর বিএসএফের আইজি এসপি বুদাকোটি শুক্র, শনি ও রবিবার কমিশনে যান। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে বাহিনী মোতায়েন নিয়ে একটি প্রাথমিক খসড়া দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন জেলায় কত বাহিনী মোতায়েন হবে, তা নিয়ে বিশেষ কিছুই বলা হয়নি কমিশনের তরফে। কো অর্ডিনেটরদের বক্তব্য, রাজ্য চাইছে সব জায়গায় সম পরিমাণ বাহিনী দিতে। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কোন জায়গায় কত পরিমাণ বাহিনী যাবে, তা নিয়ে নির্ধারিত একটি সমঝোতায় আসতেই হবে। যতক্ষণ না এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে, ততক্ষণে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এই রাজ্যে আসবে না বলেই জানাচ্ছেন কো অর্ডিনেটররা।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের তরফ থেকে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়। বাকি কোম্পানির ভবিষ্যৎ কী? তা জানাতে ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে ২ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখনও অবশ্য সেই চিঠির উত্তর দেয়নি কমিশন।