West Bengal seals border with Jharkhand: সার দিয়ে দাঁড়িয়ে ট্রাক, কেন বন্ধ ঝাড়খণ্ড সীমানা?
West Bengal seals border with Jharkhand: ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে বাংলার তিনটি জেলার সীমানা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পর ঝাড়খণ্ড থেকে কোনও ট্রাক ঢুকতে পারছে না বাংলায়। সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কেন সীমানা বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য প্রশাসন?
কলকাতা: পরপর দাঁড়িয়ে ট্রাক। ঝাড়খণ্ড থেকে বাংলায় ঢুকতে পারছে না। কারণ, বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা সিল করেছে রাজ্য প্রশাসন। হঠাৎ কী কারণে সিল করা হল বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানা? রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যা পরিস্থিতির জেরে জাতীয় সড়ক জলমগ্ন। ভারী গাড়ি যানবাহন করতে পারছে না। তাই, এই সিদ্ধান্ত।
জলমগ্ন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। কোথাও কোমর সমান জল। কোথাও রাস্তা ভেসে গিয়েছে। বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বন্যার জন্য ডিভিসি-কে আক্রমণ করেন। একইসঙ্গে ঝাড়খণ্ডের তরফে লাগাতার জল ছাড়া নিয়েও তোপ দাগেন। গতকাল ঝাড়খণ্ড সীমানা আগামী তিনদিনের জন্য সিল করার নির্দেশ দেন তিনি। ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে বাংলার তিনটি জেলার সীমানা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমান। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পর ঝাড়খণ্ড থেকে কোনও ট্রাক ঢুকতে পারছে না বাংলায়। সীমানায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কেন সীমানা বন্ধের নির্দেশ দিল রাজ্য প্রশাসন?
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, বন্যায় জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনগুলিকে যে বার্তা পাঠানো হয়েছে, সেখানে সেকথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, জেলা প্রশাসনকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে জল বইছে। এই পরিস্থিতিতে ওই জাতীয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। তাই, পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী যান। নির্দেশে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় যুক্ত যানবাহন এবং জরুরি কাজে যাতায়াতের জন্য প্রাইভেট গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে।