Ratna Chatterjee: ‘উনি যে পাগল হয়ে যাননি এটাই অনেক’, কানন প্রত্যাবর্তনে কী বললেন রত্না?
Ratna Chatterjee on Sovan Chatterjee: রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, "শোভনবাবু কিন্তু বিজেপিতে গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নামে কুকথা বলেছিলেন। এখন হয়তো ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমি কিন্তু, এখনও দল ছাড়িনি। তাই, দলে কে এল গেল, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।" শোভনকে দল ফের প্রার্থী করলে তিনি যে মেনে নেবেন, সেকথাও জানিয়ে দিলেন রত্না। বললেন, "দল মনে করলে উনি প্রার্থী হবেন। আমার উপর কিছু নির্ভর করছে না।"

কলকাতা: তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। তবে তাঁরা গত কয়েক বছর আলাদা থাকেন। আর এই সময়ে তৃণমূলের বিধায়ক হয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। আবার তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। তৃণমূলের সঙ্গে সেই দূরত্ব ঘুচে গিয়ে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন শোভন। তাঁকে নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA)-র চেয়ারম্যান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সঙ্গে কানন (শোভনকে এই নামেই ডাকেন মমতা) এই দূরত্ব ঘুচে যাওয়াকে কীভাবে দেখছেন রত্না? মুখ খুললেন শোভন-পত্নী।
আট বছর পর আবার শোভনের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে রত্না বলেন, “এত বড় যোগ্য লোক, আট বছর ধরে অকারণে নিজের জীবনটাকে নষ্ট করলেন। সমস্ত কিছু গুলিয়ে ফেললেন। আমাকে, আমার ছেলে-মেয়েকে অকারণে ছেড়ে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন। সেইরকম অকারণে রাজনীতি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এখন হয়তো বুঝতে পেরেছেন অকারণে রাজনীতি ছেড়েছিলেন।”
শোভনের এই প্রত্যাবর্তনে তিনি খুশি বলে জানালেন রত্না। বললেন, “আমার ভাল লাগছে। আমিও চাইতাম, এভাবে ঘরে বসে না থেকে কাজ করুন। আট বছর ধরে ঘরে বসে রয়েছেন। তিনি যে পাগল হয়ে যাননি এটাই অনেক। তিনি ফিরে এসেছেন, ভাল লাগছে।”
একসময় বেহালা পূর্বের বিধায়ক ছিলেন শোভন। ফের বেহালা পূর্বের দায়িত্বে শোভন ফিরে এলে কী করবেন প্রশ্ন করায় রত্না বলেন, “ফিরে আসুন, তখন আপনাদের বলব।” এরপরই অবশ্য তিনি বলেন, “আমি দলের নির্ণায়ক নই। আমি দলের একজন সাধারণ কর্মী। তৃণমূলের সৈনিক। আমাকে দিদিমণি দয়া করে বিধায়ক, কাউন্সিলর করেছেন। আমি দিদি, অভিষেকের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি অন্য দল করি না। তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা সকলকেই মেনে নিতে হবে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা মাথা পেতে নেব।”
একইসঙ্গে রত্না স্মরণ করিয়ে দিলেন, দলকে বেকায়দায় ফেলে চলে গিয়েছিলেন শোভন। রত্না বলেন, “আমি শুধু সংসার করতাম। শোভনবাবু চলে যাওয়ার পর বেহালা পূর্ব ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। দলের সেই বিপদে বেহালা পূর্ব ও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড দেখেছি। আমি এমন কিছু করিনি যে শোভনবাবু এলেই দল আমাকে সরিয়ে দেবে। শোভনবাবু কিন্তু বিজেপিতে গিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নামে কুকথা বলেছিলেন। এখন হয়তো ভুল বুঝতে পেরেছেন। আমি কিন্তু, এখনও দল ছাড়িনি। তাই, দলে কে এল গেল, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই।” শোভনকে দল ফের প্রার্থী করলে তিনি যে মেনে নেবেন, সেকথাও জানিয়ে দিলেন রত্না। বললেন, “দল মনে করলে উনি প্রার্থী হবেন। আমি না চাইলেও মেনে নিতে হবে। আমার উপর কিছু নির্ভর করছে না।”
