কলকাতা: দেওয়া হয়েছিল একগুচ্ছ হোমওয়ার্ক। হিসাব নিতে বাংলায় এসেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। ছাব্বিশের ভোটের আগে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি থেকে তৃণমূল স্তরে সদস্য সংগ্রহ, সব বিষয় নিয়েই চলল বিজেপির বিশেষ কর্মশালা। সংখ্যালঘু এলাকায় বুথ কমিটির নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই বিজেপির। সেখানে কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি অনুভব করছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে সেই বিষয় খুব বেশি মাথা ঘামাতে হবে না। পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৫ হাজারের মতো বুথ কমিটি গঠন করেছে বিজেপি।
সূত্র এও বলছে সুনীল বনশল এদিনের বৈঠকে স্পষ্টতই বলেন, বুথ সভাপতি নির্বাচনে জল মেশাবেন না। অতীতে এই রাজ্য এমন অনেক এই উদাহরণ আছে। তাই সঠিক তথ্য দিন তাতে সংগঠনের লাভবান হবে। একইসঙ্গে বুথ কমিটি গঠন করতে হবে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে। সেই নির্দেশও দিয়ে গেলেন। পাশাপাশি মণ্ডল কমিটি গঠন করতে হবে ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। ১০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে জেলা সভাপতি ঠিক করতে হবে।
বুথ সভাপতি যাতে শক্তিশালী হয় সেদিকে নজর দেওয়ার কথা শনিবারের বৈঠকেই দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বসে যাওয়া, কিন্তু কর্মঠ সব পুরোনো কর্মীদের বুথ কমিটি, মণ্ডল কমিটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে সেই পুরোনো কর্মীদের। নতুনরা অবশ্যই থাকবে। কিন্তু পুরোনোদের ফিরিয়ে আনতে হবে। দেওয়া হয়েছিল সেই নির্দেশ। কাছের লোক বাছাই করে যেন কমিটি গঠন না নয়। যোগ্যদের কমিটিতে স্থান দিতে হবে। জেলা, মণ্ডলের বা অন্য কোনও প্রভাবশালী যেন অযোগ্যদের জন্য প্রভাব না খাটান, সেটা দেখতে হবে। কমিটি গঠনে সেই কাজকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই ছিল বনশাল টাস্ক। এদিন এসব নিয়েও বিস্তর চর্চা হয়। তারপরই দেওয়া হয় নতুন কাজ।