AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

C Murugan: পর্যবেক্ষক দলে থাকা মুরুগান আসলে কে? কেন দূরত্ব নবান্নের সঙ্গে?

Election Commission: ২০০৭ ব্যাচের এই অফিসারের সঙ্গে শাসক দলের দূরত্ব দীর্ঘদিন ধরেই। প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত ডিএম হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। একেবারে জুনিয়র লেভেলের অফিসার ছিলেন মুরুগান। পরে পদোন্নতি হওয়ার পর তিনি পরিবহন দফতরে দায়িত্ব পান তিনি।

C Murugan: পর্যবেক্ষক দলে থাকা মুরুগান আসলে কে? কেন দূরত্ব নবান্নের সঙ্গে?
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2025 | 1:12 AM
Share

কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বাংলার এসআইআর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলার রিপোর্ট সংগ্রহ করে দিল্লিতে জমা দেবেন ওই প্রতিনিধিরা। আর সেই পর্যবেক্ষক দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সুব্রত গুপ্ত। আর সঙ্গে রয়েছেন আইএএস সি মুরুগান। সূত্রের খবর, এই সি মুরুগানের সঙ্গে নবান্নের একটা দূরত্ব রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইস্যুতে সংঘাতও তৈরি হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

সি মুরুগান তামিলনাড়ুর পুলিশ অফিসার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেন। পরে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে বাংলা ক্যাডারে যোগ দেন। আইএএস হিসেবে কাজ শুরু করেন বাংলায়। একাধিক পদে চাকরি করেছেন তিনি।

২০০৭ ব্যাচের এই অফিসারের সঙ্গে শাসক দলের দূরত্ব দীর্ঘদিন ধরেই। প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত ডিএম হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। একেবারে জুনিয়র লেভেলের অফিসার ছিলেন মুরুগান। পরে পদোন্নতি হওয়ার পর তিনি পরিবহন দফতরে দায়িত্ব পান তিনি। সেই সময়ই নাকি সংঘাতের শুরু।

শোনা যায়, বেলতলায় পরিবহন দফতরের যে অফিস আছে, সেখানে নানারকমের দালালরাজ চলত। নম্বর দেওয়া থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই টাকা নেওয়া হত বলেও অভিযোগ ছিল। বেলতলায় সেই দালালরাজ বন্ধ করতে সক্রিয় হয়েছিলেন মুরুগান। কড়া পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি। এরপরই নবান্নের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে মুরুগানের।

পরে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন মুরুগান। যা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। সেই অফিসারই পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন।

রাজ্য়ে এসআইআর-এর অগ্রগতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বার্তা বলা, বিএলওদের নিরাপত্তার মতো একাধিক বিষয়ে নজরদারি চালাবেন ১২ জন পর্যবেক্ষক। তারপর সেই ভিত্তি রিপোর্ট তৈরি করে পাঠাবেন আগত বিশেষ পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্তের কাছে।