CAA implementation: ভোট ঘোষণার ঠিক আগেই কেন CAA-র বিজ্ঞপ্তি? কোনও বিশেষ কারণ?
CAA implementation: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোমবার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন চার বছর পর কার্যকর করা হচ্ছে? কেন ভোটের আগেই ঘোষণা করা, সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন সাংবাদিক বৈঠকে। সত্যিই কি কোনও বিশেষ কারণ আছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
নয়া দিল্লি: ২০১৯ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার শপথ নেন নরেন্দ্র মোদী। এর কিছুদিনের মধ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয় লোকসভা ও রাজ্যসভায়। এরপর চার বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও কার্যকর করা হয়নি সেই আইন। আজ সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কার্যকর করল সিএএ। এই সময়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চার বছর পেরিয়ে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে, এই সময়টাকেই কেন বেছে নেওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলি।
সব ঠিক থাকলে মার্চ মাসেই ভোট ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। সেই হিসেবে আর বেশিদিন বাকি নেই। অনেকেই মনে করছেন, এই সময়টাকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ হল, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হবে। সিএএ-র বিরোধিতা গত চার বছর ধরেই করে আসছে তৃণমূল সহ একাধিক দল। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হলে যে বিরোধিতা নতুন মাত্রা নেবে, তা আঁচ করাই যাচ্ছিল। সেই কারণেই এই সময়টা বেছে নেওয়া হতে পারে।
বিরোধী দল শাসিত রাজ্যগুলিতে বিরোধিতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব চলে যাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে। সে ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের একাধিক জায়গায়। সেই কারণেই ভোট ঘোষণার আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোমবার সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন চার বছর পর কার্যকর করা হচ্ছে? কেন ভোটের আগেই ঘোষণা করা, সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন সাংবাদিক বৈঠকে।