SIR: কেন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে কলকাতা? কী বলছেন বিএলও-রা?
SIR In WB: গ্রাম এবং শহরের মধ্যে ভৌগোলিক পার্থক্য রয়েছে। যে পার্থক্যের কারণে শহরের এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পাদনের হার অনেকটাই কম। অ্যাপের অবস্থা খুব খারাপ। কারও নাম সঠিকভাবে তুলতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে। সকালবেলায় অ্যাপ যেটুকু কাজ করছে, সন্ধ্যা হতেই অ্যাপ সঠিকভাবে কাজ করছে না।

কলকাতা: গোটা রাজ্য সার্বিক ভাবে এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনের থেকে কলকাতা ডিজিটাইজেশনে অনেক পিছিয়ে। খাস কলকাতা কেন পিছিয়ে? কলকাতার বিএলও-দের তরফ থেকে একাধিক কারণ তুলে ধরা হচ্ছে। বিএলও-দের একাংশের দাবি, বড় বড় আবাসনগুলিতে অনেকের মধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়ার নিয়ে কোন তাগিদ নেই। ফর্ম জমা দেওয়ার ব্যাপারেও এমনভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না আবাসনের বাসিন্দারা।
বিএলও-র আরেক অংশের দাবি, ভোটার তালিকা অনুযায়ী যখন নির্দিষ্ট ঠিকানায় বিএলও ‘ রা পৌঁছে যাচ্ছেন, তখন সেই ঠিকানায় কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। হয় তাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রতিবেশীরাও সঠিক করে তাঁদের বর্তমানে ঠিকানা জানাতে পারছেন না।
এ প্রসঙ্গে এক বিএলও শিউলি সাহা বলেন, “আমরা যখন বাড়িতে যাচ্ছি, শুনছি তাঁরা বিদেশে থাকেন। কিংবা এখানে ভাড়া থাকতেন অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন। এরকম আমরা প্রচুর ফর্ম ফেরতও পাচ্ছি না। সেরকম ভোটারদের তরফ থেকে ফর্ম ফেরত দেওয়ার তাগিদও দেখছি না।”
গ্রাম এবং শহরের মধ্যে ভৌগোলিক পার্থক্য রয়েছে। যে পার্থক্যের কারণে শহরের এসআইআর প্রক্রিয়া সম্পাদনের হার অনেকটাই কম। অ্যাপের অবস্থা খুব খারাপ। কারও নাম সঠিকভাবে তুলতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে। সকালবেলায় অ্যাপ যেটুকু কাজ করছে, সন্ধ্যা হতেই অ্যাপ সঠিকভাবে কাজ করছে না। তিন থেকে চারজনের নাম তুলতে গিয়ে রীতিমতো বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা অ্যাপের। যে কারণে ডিজিটাইজেশনের কাজ সম্পূর্ণ শম্বুক গতিতে চলছে।
বিএলও-দের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ১৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করছে না অ্যাপ। বিএলও-দের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় তাঁরা কাজই করতে পারেননি। ফলত, তথ্য আপলোড কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে। কলকাতার এক বিএলও কমল দাস বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৩-৪ ঘণ্টা কাজ করছে অ্যাপ। স্ক্রিন সাদা হয়ে যাচ্ছে, ‘সাংথিং রং’ লেখা আসছে, নাম নিচ্ছে না… একাধিক সমস্যা। আমরা যখন অফিসে যাচ্ছি, সেখানেও একই অবস্থা। অ্যাপ নিয়ে হাজারও অভিযোগ। ছবি আপলোড হচ্ছে না, ঘুরেই যাচ্ছে।”
বিএলও ডোনা দে সরকার বলেন, “এটা ঠিকই অ্যাপ ঠিক মতো কাজ করছে না। আপলোডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে। মনে হয় আপডেটিংয়ের সমস্যা। আপলোড করলেও তা সাকসেসফুল হচ্ছে না। এক-একটা ফর্ম আপলোড করতেই অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।”
এদিকে, সপ্তাহ ঘুরতেই চার তারিখ। ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। কলকাতার একাধিক এলাকা থেকেই উঠে আসছে ‘সার্ভার সমস্যার’ অভিযোগ। এসআইআর জন্য নির্ধারিত নির্বাচন কমিশনের অ্য়াপে তথ্য আপলোড করতে পারছেন না বিএলও-রা।
