কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে ডিএনএ রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। টিভি নাইনের হয়ে ডিএনএ রিপোর্ট বিশ্লেষণ করলেন ডিএনএ বিশেষজ্ঞ তথা বিজ্ঞানী পার্থপ্রতিম মজুমদার। তাতেই একেবারে উথাল-পাথাল কাণ্ড। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “তিলোত্তমার যোনিদ্বারের নমুনাতেও অন্য মহিলার উপস্থিতি মিলছে। D12S391 মার্কারে অন্য মহিলার সঙ্গে তিলোত্তমার নমুনার মিশ্রণ স্পষ্ট। একাধিক লোকেদের সঙ্গে ডিএনএ CONTAMINATION হয়েছে। এই একাধিক ব্যক্তির সকলেই পুরুষ নন।” আর এখানেই উঠে যাচ্ছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। কীভাবে হয়েছে CONTAMINATION? তবে কী ল্যাবে কোনও গোলযোগ। পার্থপ্রতিম মজুমদার বলছেন, এই CONTAMINATION ল্যাবে হওয়া কার্যত অসম্ভব। এমনকী এটা ছত্রাক বা ব্যাক্টিরিয়া থেকেও নয়। সিএফএসএল প্রচুর সতর্কতা অবলম্বনে এই কাজ করে।
এদিকে রাজ্যের ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নমুনা তো সিএফএসএলে হস্তান্তর হয়েছে! তবে কি সেখানেই গণ্ডগোলের সম্ভাবনা? ডিএনএ বিশেষজ্ঞের মতে, “দায়িত্বপূর্ণ সংস্থা কন্টামিনেশন যাতে না হয় সে ভাবে কাজ করবে বলেই মনে হয়”। একাধিক পুরুষ-মহিলার উপস্থিতির ইঙ্গিত ঘিরে ধোঁয়াশা কেন?
ডিএনএ বিশেষজ্ঞের কথায়, “অন্য লোকের উপস্থিতির স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। আর কেউ সন্দেহভাজন থাকলে তার ডিএনএ নমুনার সঙ্গে নিহতের ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা যেত, কন্টামিনেশনের কারণ সেই সন্দেহভাজন কি না! এক্ষেত্রে আর কোনও সন্দেহভাজনের নমুনা না থাকায় তা করা সম্ভব হয়নি। অন্য সন্দেহভাজনের তালিকার অভাবে নমুনাগুলিকে কন্টামিনেটেড বলা ছাড়া উপায় নেই। সিএফএসএল সেটাই করেছে। তিনটে নমুনা ঘিরে যে ধোঁয়াশা হয়েছে তা স্পষ্ট হওয়া উচিত।” তবে কি জিজ্ঞাসাবাদের তালিকা থেকেও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন ছিল? সূত্রের খবর, আরজি করে নমুনা সংগ্রহে রাজ্য ফরেন্সিক দলে ছিল না কোনও বায়োলজিস্ট, ফিজিসিস্ট। টক্সিকোলজিস্ট দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিকে ঘটনার পাঁচদিন পরে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলে বায়োলজিস্ট, ফিজিসিস্টই ছিলেন। তাহলে কী রাজ্যের ফরেন্সিক দলে বায়োলজিস্ট, ফিজিসিস্ট থাকলে কী ফল হত ভিন্ন?