Manik Bhattacharya: স্বামী কোথায়? ‘স্ট্যাটাস’ জানতে চেয়ে ED অফিসে ই-মেল মানিকের স্ত্রীর

ED arrests Manik: মঙ্গলবার বেলা ১টায় ইডির অফিসে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টরকে মেইল করেছিলেন বিধায়কের স্ত্রী, মানিক ভট্টাচার্য কোথায় তা জানতে চেয়ে। কিন্তু সেই মেইলেরও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবীর।

Manik Bhattacharya: স্বামী কোথায়? 'স্ট্যাটাস' জানতে চেয়ে ED অফিসে ই-মেল মানিকের স্ত্রীর
মানিক ভট্টাচার্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2022 | 9:52 PM

কলকাতা: সোমবার থেকে ইডি অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল মানিক ভট্টাচার্যকে। গতরাতে বাড়ি ফেরা হয়নি মানিক বাবুর। রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। পরে মঙ্গলবার সকাল হতেই জানা যায়, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানিক বাবুর আইনজীবীর দাবি, গতরাতে বাড়ি না ফেরায় মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল কী হয়েছে। কিন্তু ইডির থেকে কিছু জানানো হয়নি বলেই দাবি তাঁর। এরপর মঙ্গলবার বেলা ১টায় ইডির অফিসে অ্যাডিশনাল ডিরেক্টরকে মেইল করেছিলেন বিধায়কের স্ত্রী, মানিক ভট্টাচার্য কোথায় তা জানতে চেয়ে। কিন্তু সেই মেইলেরও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি বলেই দাবি তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবীর।

প্রসঙ্গত, মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবীর দাবি, বিধায়ককে ইডি আধিকারিকরা গ্রেফতার করার পরও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। সংবাদমাধ্যমের থেকেই পরিবারের লোকেরা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই স্বামীর স্ট্যাটাস জানতে চেয়ে ইডির অফিসে ই-মেল করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। উল্লেখ্য, এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতারির পর ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। বিচারক মানিক বাবুকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ, ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই থাকবেন তিনি। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে পলাশিপড়ার তৃণমূল বিধায়ককে।

এদিকে মঙ্গলবার যখন মানিক ভট্টাচার্যকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হচ্ছিল, তখন বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়। হাতে জুতো নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন একাংশ। আদালত চত্বরে কার্যত হইচই কাণ্ড হয়ে গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। এই নিয়েও বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। উল্লেখ্য, এদিন আদালতে বিস্ফোরক সব দাবি করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের নামে একটি কোম্পানি রয়েছে, সেখানে ২ কোটি ৬৪ লাখ টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইডি আইনজীবীর আরও দাবি, বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ওই সংস্থার এগ্রিমেন্ট ছিল।