কলকাতা: আরও একবার টানা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। আবারও সেই চেনা ছবি ধরা পড়ল শহরে। জল জমল তিলোত্তমার একাধিক এলাকায়। দুর্ভোগ ও ভোগান্তি বাড়ল কলকাতাবাসীর। কিন্তু আর কতদিন? বছরের পর বছর আর কতদিন বৃষ্টি হলে জমে থাকার জলের কারণে নাজেহাল হতে হবে শহরের বাসিন্দাদের? এখনও কেন নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানো গেল না? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্ন উঠতেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে দুষলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
ইয়াস পরবর্তী সময়েও রাজ্যে ১৩০ টির বেশি বাঁধ ভাঙা নিয়েও প্রাক্তন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর দিকেই অভিযোগের তির ছিল রাজ্য সরকারের। এরপর বর্ষা এল। ফের একাবার কলকাতার রাস্তায় জল জমল। আবারও ভোগান্তির মুখ পড়লেন শহরের বাসিন্দারা। কিন্তু দোষারোপের ছবিতে কোনও বদল এল না। এ দিন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বলতে শোনা যায়, “দিনের-পর-দিন সেচ দফতরকে আমি জানিয়েছি। খাল সংস্কারের জন্য চিঠিও দিয়েছি। আগে যিনি সেচমন্ত্রী ছিলেন তাঁর সময় সেচ দফতর কোনও গা লাগায়নি বিষয়টিতে। শীতঘুম ঘুমিয়ে ছিলেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। কোনও খাল সংস্কার করেনি। ফলে মানুষকে এই যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ ধনখড়ের, ‘ছোট ছেলে হলে বকাঝকা করা যায়’, বললেন মমতার
কিন্তু বর্তমানে তো নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। নতুন সেচমন্ত্রীও এসেছেন। এখনও পরিস্থিতি বদল হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্ন অবতারণার আগেই ফিরহাদের আশ্বাস, “আমি সেচ দফতরকে আবার চিঠি দিয়েছি। আমি আশা করছি নতুন সেচমন্ত্রী অন্তত খালগুলি সংস্কার ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন। যখন বর্ষা আসে আমাদের নিকাশি বিভাগের তখন ঘুম ভাঙে। অথচ খালগুলি সংস্কারের কাজ অনেক আগে হওয়া জরুরি ছিল। তাহলে কলকাতার এমন অবস্থা হত না।”
আরও পড়ুন: শুক্রবার মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতি জানাবেন মমতা, ফলাফল কবে?