Kolkata Metro: চিংড়িঘাটায় মাত্র ৩৬৬ মিটার জোড়া যাচ্ছে না! ‘দুঃখজনক’ বলছে মেট্রো, কীভাবে এগোবে কাজ!
কলকাতা: চিংড়িঘাটা মোড়ে মাত্র ৩৬৬ মিটার মেট্রো লাইনের সংযুক্তির কাজ বাকি। বারবার আবেদন করেও প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্পের কাজ থমকে যাওয়ায় ‘দুঃখজনক’ বলে দাবি মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারের। মাত্র ৩৬৬ মিটার লাইন, আর তাতেই যাবতীয় জটিলতা। ফলে নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন ও কলকাতা বিমানবন্দর বা জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন (প্রায় ২৯.৮৭ […]

কলকাতা: চিংড়িঘাটা মোড়ে মাত্র ৩৬৬ মিটার মেট্রো লাইনের সংযুক্তির কাজ বাকি। বারবার আবেদন করেও প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকল্পের কাজ থমকে যাওয়ায় ‘দুঃখজনক’ বলে দাবি মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারের।
মাত্র ৩৬৬ মিটার লাইন, আর তাতেই যাবতীয় জটিলতা। ফলে নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন ও কলকাতা বিমানবন্দর বা জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন (প্রায় ২৯.৮৭ কিমি) করিডরের দ্বিতীয় দফার সম্প্রসারণের কাজ থমকে রয়েছে। প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে, অথচ কাজের গতি নেই। রাজ্য প্রশাসনের দরজায় বারবার ঘুরেও মেলেনি অনুমতি।
এই ধরনের অসহযোগিতাকে “দুঃখজনক” বলে কটাক্ষ করেছেন কলকাতা মেট্রো জেনারেল ম্যানেজারের। তিনি বলেন, “প্রকল্পে ব্যয় অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের পকেটের টাকা। কিন্তু পরিষেবার কাজ আটকে যাওয়ায় ব্যয়ভার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।”
বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশন থেকে ক্যাপ্টেন ভেড়ি হয়ে চিংড়িঘাটা মোড়ের উপর দিয়ে মোড় বা টার্ন নিয়ে সুকান্ত নগরের মধ্যে দিয়ে ভায়া সেক্টর ফাইভ কলকাতা বিমানবন্দর যাওয়ার কথা এই মেট্রো লাইনের। ভেড়ি হয়ে চিংড়িঘাটা পুলিশ ফাঁড়ি লাগোয়া ৩১৬ নম্বর পিলারেই থমকে গিয়েছে মেট্রো সম্প্রসারণের কাজ। চিংড়িঘাটা মোড়ের কাছে ওই মেট্রোপথের ৩১৭, ৩১৮ এবং ৩১৯ নম্বর স্তম্ভের উপরে গার্ডার উত্তোলনের কাজ না হওয়ায় ৩৬৬ মিটার অংশ সংযুক্তির কাজ আটকে।
প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) তরফে বারবার কলকাতা পুলিশকে চিঠি দিয়ে অন্তত সাত দিন রাতে চিংড়িঘাটা মোড় দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করার জন্য আবেদন করা হয়। সাত দিনের মধ্যে ওই কাজ হয়ে যাবে বলেও দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের দাবি, সাত দিন বন্ধ রাখা যাবে না। চিংড়িঘাটা মোড় গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। গাড়ি বন্ধ হলে বিপর্যয় দেখা দেবে বলে দাবি করে পুলিশ।
কলকাতা মেট্রো সূত্রের খবর, এর আগেও ৩১৭, ৩১৮ এবং ৩১৯ নম্বর পিলার বসানোকে কেন্দ্র করে টালবাহানা তৈরি করেছিল প্রশাসন। দীর্ঘ চেষ্টার পর অনুমতি পাওয়ায় ওই তিনটি পিলার বা স্তম্ভ চিংড়িঘাটা সংযোগস্থলে বসানো সম্ভব হয়েছিল। মেট্রো সূত্রে খবর, এই সংযুক্তিকরণের কাজের জন্য আরভিএনএল-এর পক্ষ থেকে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দু’দফায় ওই কাজ করার অনুমতি চাওয়া হয়।
গত ২০ জানুয়ারি এই মর্মে আরভিএনএল এবং ট্র্যাফিক বিভাগের আধিকারিকদের দল যৌথভাবে বিকল্প ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করে। পুলিশের পক্ষ থেকে আরও কিছু কাজের সুপারিশ করা হয়। যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে ফের ৩ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাতে দু’দফায় ওই কাজ সম্পূর্ণ করার অনুমতি চাওয়া হয় মেট্রোর তরফে।
এর জন্য গত ১১ ফেব্রুয়ারি দু’তরফের বৈঠক হয়। কিন্তু তারপরেও কোনও আলোর দিশা দেখা যায়নি। সম্প্রতি সাঁতরাগাছি রেল স্টেশনে একটি অনুষ্ঠানে এসে খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব চিংড়িঘাটায় প্রশাসনের অসহযোগিতা নিয়ে সরব হন। নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের কথায়, এভাবে স্তম্ভ তৈরি করার পর দিনের পর দিন ফেলে রাখা হলে, রোদ – ঝড় – বৃষ্টিতে সেগুলিতে ক্ষয় ধরতে থাকে। ফলে দীর্ঘ কর্মক্ষমতা এবং গার্ডার ধরে রাখার অংশগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে দ্রুত অনুমোদন না দিলে এবং গার্ডার না বসালে কর্ম ক্ষমতা কমে যাবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।
