কলকাতা: গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন, আচমকা দেখলেন আপনার পথ আটকালেন সরকারি অফিসার। বলা হল দিয়ে দিতে হবে গাড়ি। আপনি তো ততক্ষণে তাঁদের কথা শুনে থ। ভাবছেন, কোনও ট্র্যাফিক আইন তো আপনি ভাঙেননি, এমন কোনও কাজ করেননি যাতে নিয়ে নেওয়া হতে পারে আপনার গাড়ি। তাহলে কেন? ঘোষণা হয়ে গিয়েছে দিনক্ষণ। বাংলায় সাত দফায় হতে চলেছে লোকসভা ভোট। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ভোট। শেষ ১ জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন। গত শনিবার ভোটের নির্ঘণ্ট সামনে আনে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সঙ্গে সঙ্গেই চালু হয়ে গিয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি। কিন্তু, জানেন কী ভোটের মরসুমে যে কোনও সময় চাইলে বাণিজ্যিক গাড়ির পাশাপাশি আপনার ব্যক্তিগত গাড়িও নিয়ে নিতে পারে নির্বাচন কমিশন? কাজে লাগানো হতে পারে ভোটের কাজে। তবে কমিশন গাড়ি নিলেও আপনাকে দেওয়া হবে ভাড়া।
নিয়ম বলছে, বাণিজ্যিক গাড়ি হোক পা ব্যক্তিগত গাড়ি, সবই নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। তবে সংশ্লিষ্ট গাড়ি কবে থেকে নেওয়া হবে তা আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয় কতদিনের জন্য তা নেওয়া হচ্ছে। কোনও নির্বাচনী ক্ষেত্রে সাধারণত ভোটের দু’দিন আগে থেকে গাড়ি ধরা হয়। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এ ক্ষেত্রে কমিশনের মূল লক্ষ্য থাকে বাণিজ্য়িক গাড়ির দিকেই। কারণ, বাণিজ্যিক গাড়ি নিলে সঙ্গে ড্রাইভার পাওয়া যায়।
তবে পার্সোনাল গাড়িও অনেক সময় নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে যে গাড়ি ভাল অবস্থায় রয়েছে সেগুলিকে বেছে নেয় কমিশন। অবর্জারভাররা এই গাড়িগুলি সাধারণত ব্যবহার করেন। তবে গাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নেই কোনও বাধা ধরা নিয়ম নেই। সূত্রের খবর, গাড়ি নিলে ভাড়া মেটায় কমিশন। দর ঠিক করে পরিবহণ দফতর। তবে ভাড়া বাবদ কেউ টাকার বদলে একই অঙ্কের তেল গাড়িতে ভরে নিতে পারেন। সেই অপশনও দেয় কমিশন। প্রসঙ্গত, বাংলার পাশাপাশি এবারের লোকসভা ভোট সাত দফায় হতে চলেছে আরও দুই রাজ্যে। তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ, বিহার। ভোটের হাওয়ায় তপ্ত হচ্ছে বাংলার মাটি। প্রচারে ঝড় তুলতে ব্যস্ত শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। এখন দেখার শেষ হাসি কে হাসে।