AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chanditala Murder Case: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার দেহ, ‘আত্মঘাতী’ চণ্ডীতলায় একই পরিবারের ৩ জনকে খুনে মূল অভিযুক্ত

Chanditala Murder Case: তাঁর দেহ শণাক্ত করেছেন দাদা তপন ঘোষ। রেল পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কামারকুন্ডুতে নিয়ে গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Chanditala Murder Case: রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার দেহ, 'আত্মঘাতী' চণ্ডীতলায় একই পরিবারের ৩ জনকে খুনে মূল অভিযুক্ত
চণ্ডীতলা মার্ডার কেসে মূল অভিযুক্ত আত্মঘাতী (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Dec 07, 2021 | 10:31 AM
Share

হুগলি: চণ্ডীতলায় একই পরিবারের তিন জনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আত্নঘাতী। অন্তত তেমনটাই প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে গোবরা স্টেশনের রেল লাইন থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শ্রীকান্ত ঘোষ। তাঁর দেহ শণাক্ত করেছেন দাদা তপন ঘোষ। রেল পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কামারকুন্ডুতে নিয়ে গিয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

সোমবার চণ্ডীতলায় একই পরিবারের তিন সদস্য সঞ্জয় ঘোষ, মিতালি ও শিল্পা ঘোষ খুন হন। বেশ কিছুদিন কয়েক বছর ধরেই তাঁরা ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন। তাঁদেরই আত্মীয় শ্রীকান্ত ও তপন ঘোষ। এই শ্রীকান্ত ও তপন ঘোষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে খুনের। সম্পত্তি বিবাদের জেরেই খুন হয়েছেন সঞ্জয়, মিতালী ও শিল্পা এমনটাই মনে করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আজ সকালে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। সেই সময় সঞ্জয় বাবুকে প্রথমে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে অভিযুক্তরা। পরে কুপিয়ে খুন করে তাকে। সেই ঘটনা দেখে স্ত্রী ও সঞ্জয়বাবুর মেয়ে পালাতে গেলে একইভাবে তাদের খুন করে অভিযুক্তরা।

এই ঘটনার বিষয়ে সঞ্জয় ঘোষের শ্যালক কাজল ঘোষ জানান, “বোনের বাড়িতে এসে দেখি মৃতদেহ নেই। পুলিশ বাড়ি আটকে রেখেছে। যে খুন করেছে তাঁকে এখনও ধরতে পারা যায়নি।” ঘটনাস্থান থেকে অভিযুক্ত তপন ঘোষকে আটক করে পুলিশ। আরেক অভিযুক্ত শ্রীকান্ত ঘোষ পলাতক।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ডিসেম্বর খুন হন একই পরিবারের চারজন। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জের। প্রাণ খোয়াতে হয় একই পরিবারের ৪ জনকে। প্রৌঢ় দম্পতি দীনেশ প্যাটেল ও অনুষ্কা প্যাটেলকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ, প্যাটেল পরিবারের আত্মীয় যোগেশের বিরুদ্ধে। খুন করে পলাতক অভিযুক্ত। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশ প্যাটেলের বাবা মাওজি প্যাটেল ও দম্পতির ছেলে ভাবিক প্যাটেলকেও। রাতে মৃত্যু হয় আরও দু’জনের।

তদন্তে আসে সিআইডি সিআইডি ও ফরেনসিকের বিশেষ প্রতিনিধি দল। গত শুক্রবার সাত সদস্যের ওই বিশেষ প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে।

বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি, সংগ্রহ করা হয় আঙুলের ছাপও। জেলা পুলিশের সঙ্গেই একযোগে চলে তদন্তের কাজ। ইতিমধ্যেই, খুনের ঘটনায় পুলিশের জালে তিন জন। মৃতদের নিকট আত্মীয় যোগেশ ধাওয়ানীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। সেই সময় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, গত বৃহস্পতিবারই  দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে মূল অভিযুক্ত ফেরার। খুনের কারণ ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি অন্য কিছু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র  উদ্ধার করা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হয়।

আরও পড়ুন: Crops Ruined In Rains: নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামে, ফসল তুলেও রেহাই নেই চাষিদের