Dooars: রাজ্য সরকার আয়োজিত আদিবাসী মেলায় আমন্ত্রণই পেলেন না জন বার্লা, মনোজ টিজ্ঞারা

Dooars: এ দিন প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করে বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী। আদিবাসী রীতি অনুযায়ী অতিথিদের ধামসা মাদল বাজিয়ে আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়।

Dooars: রাজ্য সরকার আয়োজিত আদিবাসী মেলায় আমন্ত্রণই পেলেন না জন বার্লা, মনোজ টিজ্ঞারা
আদিবাসী মেলায় আমন্ত্রণ পেলেন না খোদ আদিবাসী বিধায়করা (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2023 | 8:09 PM

ডুয়ার্স: শনিবার পালিত হয় জয় জোহার আদিবাসী মেলা। রাজ্য সরকারের আয়োজিত সেই মেলার আমন্ত্রণের তালিকা থেকে বঞ্চিত এলাকারই আদিবাসী বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ। যার জেরে তুঙ্গে রাজনৈতিক জল্পনা। সরকারি অনুষ্ঠানেও কি রাজনীতির ছাপ? প্রশ্ন উঠছে ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ মাধ্যম প্রশ্ন করতেই কোনও উত্তরই দিতে পারলেন না এলাকার বিডিও।

ঘটনাস্থল ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গয়েরকাটা এলাকা। শনিবার সরকারি ভাবে ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে এই জোহার মেলার আয়োজন করা হয়। সেই মেলায় আমন্ত্রিত ছিলেন বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী। এ ছাড়াও ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান,  বানারহাট থানার আইসি শান্তনু সরকার, মোরাঘাট রেঞ্জার রাজকুমার পাল সহ এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবীরা । তবে যাঁদেরকে কেন্দ্র করে এই মেলার আয়োজন, সেখানেই খোদ আমন্ত্রিত হননি এলাকায় আদিবাসী বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার চিফ হুইপ মনোজ টিজ্ঞা ও সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তবে শুধু বিজেপি বিধায়করাই নয়, আমন্ত্রণ পাননি শাসক দলের বেশ কয়েকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের নেতারাও। স্বাভাবিকভাবে আড়াআড়ি চাপের মুখে বিতর্কে বানারহাট ব্লক প্রশাসন ।

এ দিন প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করে বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী। আদিবাসী রীতি অনুযায়ী অতিথিদের ধামসা মাদল বাজিয়ে আদিবাসী নৃত্যের তালে তালে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। তবে, শনিবারের এই অনুষ্ঠানে বেশিরভাগ দর্শক আসনই ছিল ফাঁকা। অর্থাৎ যে উদ্দেশে মেলার আয়োজন সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি বলেই মনে করছেন বিরোধিরা।

এ বিষয়ে বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার চিফ হুইপ মনোজ টিজ্ঞা বলেন, “আপনারা জানেন এখন এই রাজ্যে কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিরোধী বিধায়ক এবং সাংসদদের ডাকা হয় না। বিগত দিনেও আমন্ত্রণ পাইনি। এই অনুষ্ঠানেও আমাদেরকে ডাকা হয়নি কোনও আমন্ত্রণ আমরা পাইনি। সরকার শুধু খেলামেলা উৎসব নিয়ে মেতে আছে। আদিবাসীদের ভুল বোঝানোর জন্য এই মেলা করা হয়েছে আদিবাসীদের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে।” যদিও, সীমা চৌধুরী বলেন, “ওনাদের প্রথম থেকেই কাজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তোলা। কিন্তু ওনাদের প্রশ্ন করুন দ্বিধা বিভক্ত আচরণ করেন। আগে এই কাজগুলি ওনারা বন্ধ করুন।”