Manoj Tiwary: রঞ্জির বাইশ গজে ‘প্রেমিক’ মনোজ, শতরানের পর স্ত্রীকে খোলা প্রেমপত্র
রঞ্জিতে তাঁর এই টানা সাফল্যের জন্য স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে কালবিলম্ব করলেন না মনোজ তিওয়ারি। সেঞ্চুরির পর সোজা পকেট থেকে চিরকূট বের করে ক্যামেরার দিকে তুলে ধরেন। তাতে লেখা, আই লাভ ইউ সুস্মিতা, মাই সুইটিপাই। সঙ্গে হৃদয় এঁকে দিয়েছেন।
আলুর : বেঙ্গালুরুর কেএসসিএ ক্রিকেট গ্রাউন্ড দেখল ‘প্রেমিক’ মনোজ তিওয়ারিকে (Manoj Tiwary)। প্রকাশ্যে স্ত্রী সুস্মিতাকে বললেন সেই ‘থ্রি ম্যাজিক্যাল’ শব্দ । মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে (Ranji Trophy) চাপের মুখে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে অনবদ্য শতরান । সেলিব্রেশনের সময় ব্যাট তুলে ধরার পরই সবাইকে অবাক করে পকেট থেকে বের করেন চিরকূট । সাদা কাগজে নীল কালির পেন দিয়ে লেখা কতগুলি শব্দ । মন্ত্রী মনোজ, ক্রিকেটার মনোজকে ছাপিয়ে গিয়ে ধরা দিলেন ‘প্রেমিক’ মনোজ!
কেরিয়ারে সব সময় পাশে পেয়েছেন স্ত্রী ও পরিবারকে। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর টিভি নাইন বাংলার কাছে তা খোলাখুলিই বলেছিলেন মনোজ। ক্রিকেট ও প্রশাসনিক কাজ একসঙ্গে সামলানোর কথা উঠলে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন স্ত্রী সুস্মিতাকেই। বলেছিলেন, ‘হোম মিনিস্ট্রি’-র সমর্থন থাকলে বাকি সব বাধা পার করা যায় । রঞ্জিতে তাঁর এই টানা সাফল্যের পিছনে স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে কালবিলম্ব করলেন না। সেঞ্চুরির পর সোজা পকেট থেকে চিরকূট বের করে ক্যামেরার দিকে তুলে ধরেন। তাতে লেখা, আই লাভ ইউ সুস্মিতা, মাই সুইটিপাই। সঙ্গে হৃদয় এঁকে দিয়েছেন। নীচে আরও দুটি শব্দ লেখা ছিল, যদিও তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি।
মনোজের এই প্রেমপত্রের উত্তর ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন স্ত্রী সুস্মিতা। একইসঙ্গে তাঁর স্বামীকে যাঁরা ট্রোল করেন, তাদেরও একহাত নিয়েছেন। আনস্টপেবল গানের সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “কোয়ার্টার ফাইনালেও সেঞ্চুরি, সেমিফাইনালেও শতরান। ইনি হলেন বাংলার মন্ত্রী। আপনাদের জানিয়ে রাখি, মনোজ তিওয়ারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি।”
একাধারে তিনি প্রতিমন্ত্রী, অন্য দিকে তাঁর হৃদয়জুড়ে রয়েছে ক্রিকেট। মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব সামলেও বাইশ গজে খেল দেখিয়ে চলেছেন বাংলার ব্যাটার মনোজ তিওয়ারি। ক্রীড়াক্ষেত্রে উন্নতি তাঁর যতটা লক্ষ্য, ঠিক ততটাই তিনি পাখির চোখ করেছেন এ বারের রঞ্জি ট্রফিকে। বাংলাকে রঞ্জি জেতানোর স্বপ্ন দু’চোখে নিয়ে এগোচ্ছেন । কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমি ফাইনালেও চওড়া হয়েছে মনোজের ব্যাট । মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন তিনি। শাহবাজ আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে চাপের মুখে খেলেছেন ১০২ রানের অনবদ্য ইনিংস। সুইপ মারতে গিয়ে আউট না হলে হয়তো অ্যাডভান্টেজে থাকত বাংলা।
প্রথম শ্রেণির কেরিয়ারে ২৯তম শতরান করলেন মনোজ। ফাইনালে যদি উঠতে পারে বাংলা, প্রবল চাপের মুখে তাঁর এই লড়াকু ইনিংস নিয়েই আলোচনা চলবে। চলতি রঞ্জি ট্রফিতে বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ককে অনেক বেশি ফোকাসড মনে হয়েছে। নিজে যেমন ব্যাট হাতে ধারাবাহিক, ঠিক সেভাবেই দলের তরুণদের সমানে ভরসা জুগিয়ে চলেছেন তিনি । শতরানের পর তাঁর বা বাংলার ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী না হলেও সমানে দলকে সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন । সমানে দলের তরুণ বোলারদের উদ্বুদ্ধ করা যাচ্ছেন। এ দিন মনোজ ছাড়াও শতরান এসেছে শাহবাজ আহমেদের ব্যাটে । ২১৬ বলে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন শাহবাজ। ২৭৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছে বাংলা। প্রথম ইনিংসের নিরিখে পিছিয়ে ৬৮ রানে।