দিন দিন গরম বাড়ছে। বৈশাখের মাঝে এসেও কালবৈশাখীর দেখা নেই। গরমে শরীরও ক্লান্ত। এই অবস্থায় হাইড্রেশনই হল সুস্থ থাকার একমাত্র উপায়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে জল ও খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যাচ্ছে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না খেলে আপনিই বিপদে পড়বেন। কিন্তু জলই একমাত্র সমাধান নয়। দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখাও দরকার। আর এই কাজটা দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে ডাবের জল। কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে সবসময় ডাবের জল খাওয়া সম্ভব নয়। গরমকে হার মানাতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন এই ৩ পানীয়।
আম পোড়ার শরবত: গরমে যত বেশি টক জাতীয় খাবার খাবেন, শরীর ঠান্ডা থাকবে। আর এখন কাঁচা আমের মরশুম। এই সময় রোদ থেকে বাড়ি ফিরে আম পোড়ার শরবত খেলে, এক মিনিটে ফিরবে এনার্জি। দু’টো কাঁচা আম কম আঁচে রেখে পুড়িয়ে নিন। তারপর খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার আমগুলো হাত বা চামচের সাহায্যে আঁটিটা ছাড়িয়ে ফেলে দিন। এবার আমের মিশ্রণের সঙ্গে পরিমাণমতো নুন, বিটনুন, চিনি, জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে মিক্সিতে পাল্প বানিয়ে নিন। ফ্রিজের ঠান্ডা জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিন আমের মিশ্রণ। স্বাদমতো নুন-চিনি যোগ করুন। শরবতকে আরও সুস্বাদু করে তুলতে পুদিনা পাতাও মেশাতে পারেন। উপর দিয়ে চাট মশলা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন আম পোড়ার শরবত।
গন্ধরাজ ঘোল: এই গরমে ঘরে পাতা দইয়ের থেকে ভাল জিনিস কিছু হয় না। গরমে যত বেশি টক দই, লস্যি, ঘোল খাবেন, এড়াতে পারবেন রোগের ঝুঁকি। টক দইয়ের সঙ্গে স্বাদমতো নুন-চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর মধ্যে ফ্রিজের ঠান্ডা জল, গন্ধরাজ লেবুর জিস্ট মিশিয়ে দিন। গ্লাসে ঘোল পরিবেশন করার সময় উপর দিয়ে গন্ধরাজ লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। এই পানীয় গরমের তাতাপোড়া থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।
তরমুজের শরবত: গরমে তরমুজ খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। এই ফলের ৯০ ভাগ জল, যা গরমে শরীরের জন্য উপকারী। আর তরমুজের দানা খেয়ে ফেললেও কোনও ক্ষতি নেই। তাই খোসা ছাড়িয়ে তরমুজ ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এবার এতে স্বাদমতো নুন-চিনি ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। যদি শরবত ঘন হয়ে যায়, এতে ঠান্ডা জল মিশিয়ে নিন।