Talcum Powder: গরমে দুর্গন্ধ ঠেকাতে গোপনাঙ্গের চারপাশে পাউডার ব্যবহার করেন? ত্বকের ক্ষতির জন্য কতটা দায়ী?
Summer Skin Care: গরমের কারণে চুলকানি, অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। তবে অনেকেরই অজানা যে এই ধরনের পাউডার ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানলে ব্যবহার করার আগে দুবার ভাববেন...
গরম (Summer Season) শুরু আগে থেকেই টিভি-রেডিয়োতে শরীরকে ঠান্ডা রাখার নানা উপায়ের কথা বলা হয়। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপনেই বলা হয় এই পাউডার (Talcum Powder) ব্যবহার করলে বরফের মত শরীরে ঠান্ডা তরঙ্গ বয়ে যাবে, আবার কখনও বলা হয় এই পাউডার ব্যবহারে গরমে তৈরি হওয়া চুলকানি, র্যাশেসও দূর হয়ে যাবে নিমেষের মধ্যে। টিভিতে বিজ্ঞাপনগুলিতে চমক আনার জন্য পাউডার ছিটিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফের টুকরোতে পরিণত হয়ে গিয়েছে। দর্শকরা সেটি সত্যি ধরে নিয়েই গরমের শুরুতে একটা ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ পাউডার কিনে ব্যবহার করেন। গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের আরাম পেতে এই পাউডার ত্রাণকর্তা হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। বিজ্ঞাপনের কথা অনুযায়ী, গরমের কারণে চুলকানি, অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। তবে অনেকেরই অজানা যে এই ধরনের পাউডার ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানলে ব্যবহার করার আগে দুবার ভাববেন…
আমাদের কথা বিশ্বাস নাও করতে পারেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, তা একবার দেখে নেওয়া প্রয়োজন। বিখ্য়াত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড নিবেদিতা দাদু হেলথ শটসকে এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, গরমে ব্যবহৃত পাউডারগুলি ত্বকের ভাল করার থেকে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলে! গরমকালে ঠান্ডা ঠান্ডা পাউডার ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা জেনে নিন…
ত্বকের সংক্রমণের অন্যতম কারণ
ট্যালকমে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণে স্টার্চ। যার কারণে গ্রীষ্মকালে বগল ও কুঁচকির মত সংবেদনশীল জায়গাগুলিতে ব্যবহার করলে কেকের মত স্তর জমা হয়। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া তো দূর, এখনই সতর্ক না হলে ত্বকের সংক্রমণ হয়ে গুরুতর পরিস্থিতির শিকার হতে পারেন।
প্রাকৃতিক তেল নিংসরণে হ্রাস
গরমে নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের প্রাকডতিক তেল উত্পাদন কম হয়। ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে ও ফ্ল্যাকি ত্বক ও সংবেদনশীল ত্বকের মত সমস্যা তৈরি হতে পারে।
ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়
পাউডার যে ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা এই কারণেই বুঝতে পারবেন। পাউডারের সূক্ষ্মদানাগুলি এমনভাবে মিশে থাকে, যা ত্বকের ছিদ্রগুলির মুখ বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়। গরমের সময় ঘামকে বাষ্পীভূত হতে বাধা দেয়। এছাড়া ত্বকের মধ্যে ফুসকুড়ি বা র্যাশেসগুলিকে আরও খারাপ অবস্থায় পরিণত করে তোলে। কিছু ট্যালকাম পাউডারে অ্যাসবেস্টস নামক পদার্থ থাকে যা ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এছাড়া অ্যাসবেস্টোসিসের মত রোগেরও কারণ হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার জন্য দায়ী
গ্রীষ্মকালে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করলে ট্যালক কণা বাতাসে ভেসে আমাদের শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারে। শ্বাস নেওয়ার সময় এই কণাগুলি শ্বাসনালীর অগভীর ও গভীরে প্রবেশ করে কাশি, গলা ব্যথার উদ্রেক ঘটায়। চরম অবস্থায় এটি ট্যালকোসিস বা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের জ্বালা ধরার কারণ হতে পারে।
ওভারিয়ান সমস্যা
শুধু ত্বকের ক্ষেত্রেই নয়, শরীরের জন্যও এই পাউডার ক্ষতিকর। অনেক মহিলা যোনি দুর্গন্ধ প্রতিরোধের জন্য ট্যালকম পাউডার পণ্য ব্যবহার করেন। কুঁচকিতে লাগালে এটি কণাগুলিকে যোনি এবং জরায়ুতে প্রবেশ করে শরীরের আরও বড় ক্ষতি তৈরি করে। এই কণাগুলি ফ্যালোপিয়ান টিউব এবং ডিম্বাশয়ে প্রবেশ করতে পারে। উল্লেখ্য, এই জায়গাগুলিতে যেহেতু খুব সহজে দ্রবীভূত হয় না, দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকে, ফলে ডিম্বাশয় পর্যন্ত এদের সনাক্ত করা যায়। ওভারিয়ান অনেক সমস্যার জন্য পাউডারের ব্যবহার অনেকটাই দায়ী।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।