Cucumber for skin: ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার সহজ উপায় খুঁজছেন? জল পানের সঙ্গে ভরসা রাখুন শসার উপরও
Skin Care: দৈনন্দিন জীবনে ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজারের বাইরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় হয় না। সেখানে আপনি যদি শসা দিয়ে একটু রূপচর্চা করেন তাহলে ত্বক আরও ভাল থাকবে।
ত্বককে ভাল রাখতে গেলে ভিতর থেকে তাকে পুষ্টি জোগাতে হবে—একথা নিসছয়ি সকলেরই জানা। মূলত শরীর হাইড্রেটেড থাকলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও অনেকাংশে কমে যায়। আর শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য জল হচ্ছে একমাত্র উপায়। তবে যদি ফল দিয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার প্রসঙ্গ আসে তাহলে সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে শসা। প্রতিদিন শসা খেলে শরীর থাকবে, পাশাপাশি ত্বকও হাইড্রেটেড থাকে। তবে এই শসাকে ত্বক হাইড্রেটেড করার জন্য আপনি অন্যভাবেও ব্যবহার করতে পারেন। দৈনন্দিন জীবনে ফেসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজারের বাইরে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় হয় না। সেখানে আপনি যদি শসা দিয়ে একটু রূপচর্চা করেন তাহলে ত্বক আরও ভাল থাকবে। কীভাবে সম্ভব ভাবছেন? চলুন দেখে নেওয়া যাক…
প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে যে হাইড্রেশনের অভাবে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে। এমতাবস্থায় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রে একমাত্র শসাই আপনাকে সাহায্য করতে পারে। শসার মধ্যে জলের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই শসা দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে অনেকটা উপকার পাবেন। খোসা সমেত শসাকে মিক্সিতে দিয়ে একটা মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি সারা মুখে, ঘাড়ে ও গলায় লাগান। ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন এবং এরপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক দু’দিন অন্তর ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যস্ততার মধ্যে যদি ফেসপ্যাক ব্যবহারেরও সময় না থাকে তাহলে অন্য উপায়ে ব্যবহার করুন শসাকে। শসার আইস কিউব বানিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর ঘষুন। প্রথমে শসাকে খোসা সমেত মিক্সিতে বেটে নিন। এবার এই শসার পেস্টটা আইস ট্রে’তে দিয়ে সেট হওয়ার জন্য ৩-৪ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। দিনের শেষে মুখ ধুয়ে একটা করে এই শসার আইস কিউব দিয়ে ত্বকের উপর ঘষুন। তারপর সুতির কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন। এই পদ্ধতিতে শসা ব্যবহার করলে ত্বকে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
শসার আইস কিউব ব্যবহার করলে সারাদিনের ক্লান্তিভাব নিমেষের মধ্যে দূর হয়ে যায়। শসার আইস কিউব ব্যবহারের ফলে ত্বকে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতা আসে। পাশাপাশি ত্বক অনেক সতেজতা আসে। শসার মধ্যে ভিটামিন সি এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে যা সুন্দর ত্বক গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি এভাবে আইস কিউব ব্যবহার করলে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন সঠিক থাকে। এতে ত্বকের যে কোনও সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়।