Tangled Hair: প্রতিবার জট ছাড়াবার ধৈর্য নেই? ঝামেলা ছাড়াই এই ৫ টিপসে হবে কাজ

Hair Care Routine: অনেকসময় জট ছড়াবার জন্য চুলের বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করেন বা প্রতিদিন যে নতুন চুলের স্টাইল করা হয়, তার জেরে চুলে আরও গিঁট বেধে যায়। ব্রাশ দিয়ে চুল ঠিক করতে গিয়ে অর্ধেক চুল ছিঁড়েই হাতে চলে আসে।

Tangled Hair: প্রতিবার জট ছাড়াবার ধৈর্য নেই? ঝামেলা ছাড়াই এই ৫ টিপসে হবে কাজ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2022 | 11:48 AM

প্রতিদিন চুলের (Hair Care Tips) সঙ্গে লড়াই করতে করতে ক্লান্ত? প্রতিবার চুলে ব্রাশ করার সময় চুলের জট (Tangled Hair)  ছাড়াতে গিয়ে গোছা গোছা চুল উঠে আসা একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যাই অধিকাংশের ধৈর্য পরীক্ষার সামিল হয়ে ওঠে। চুলে জট ও গিঁট পরলে তা ছাড়াতে গিয়ে নাজেহার হতে হয়ে মহিলাদের। যাদের লম্বা চুল (Long Hair Problems), তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও গুরুতর। অনেকসময় জট ছড়াবার জন্য চুলের বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করেন বা প্রতিদিন যে নতুন চুলের স্টাইল করা হয়, তার জেরে চুলে আরও গিঁট বেধে যায়। ব্রাশ দিয়ে চুল ঠিক করতে গিয়ে অর্ধেক চুল ছিঁড়েই হাতে চলে আসে। তবে আর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে না। কারণ এবার ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই খুব সহজেই চুলের জট ছাড়িয়ে ফেলতে পারবেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলে গিঁট পরে গেলে তা বিচ্ছিন্ন করা সত্যিই কঠিন। কিন্তু হেয়ার অয়েল, হেয়ার মাস্ক বা হেয়ার কন্ডিশনারের মত পণ্যগুলি গিঁট খুলে ফেলতে সহজ করে তুলতে পারে। ভেজা চুল থেকে গিঁট সরানোর চেষ্টা না করাই ভাল। যদি ভেজা চুলে গিঁট সরানোর চেষ্টা করেন তাহলে বেশি সংখ্যক চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।চুল শুকিয়ে গেলে জট ছাড়াবার জন্য চওড়া-দাঁতওয়াসা নরম ব্রিসলের চিরুনি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

কীভাবে চুলে জট পড়ে?

যখন চুলের বাইরের স্তর বা কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও খুলে গিয়ে জট সৃষ্টি হয়। খোলা কিউটিকল একে অপরকে ব্লক করে ও গিঁট তৈরি করে। যখন চুলে দুটি একক স্ট্র্যান্ড একে অপরকে চারপাশে জড়িয়ে যায়, তখনই চুলের গিঁট পড়ে যায়। মসৃণ বা সিল্কি চুল জটপ্রবণ হয় না। তেব ক্ষতিগ্রস্ত কোঁকড়া চুল সবচেয়ে বেশি গিঁট পড়ে যায়। এছাড়া শ্যাম্পু করার সময় চুলে মাসাজ করলে, রাসায়নিক-যুক্ত শ্যাম্পু, ওভার-ওয়াশিং, হাইড্রেশনের অভাবে, হিট স্টাইলিং, তোয়ালে দিয়ে চুলে বেশি ঘষলে, খোলা হওয়ায় চুল ছেড়ে দিলে, প্রতিদিন চুলে ব্রাশ না করা বা অতিরিক্ত ব্রাশ করা. চুল খুলে ঘুমালে আরও বেশি করে জট পড়ে।

কোনও রকম ঝামেলা ও ক্ষতি না করেও চুলের জট ছাড়ানো সম্ভব। সেই সমস্যা সমাধানের ৫টি সহজ উপায় জেনে নিন…

কন্ডিশনার: কন্ডিশনিং চুলের যত্নের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। চুলে জট পড়লে তা সহজেই বিচ্ছিন্ন করা সহজ হয়ে যায়। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার প্রয়োগ করুন। মাথার ত্বককে বাঁচিয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্জিশনার ব্যবহার করে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর চুল আঁচড়ান। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন।

ডিট্যাংলিং স্প্রে: চুলের জট ছাড়ানোর জন্য ডিট্যাংলিং স্প্রে ব্যবহার করলে উপকার পাবেন অনেক। বিচ্ছিন্ন করার সময় চুলের মধ্যে টান কমাতে সাহায্য করে। বাড়ির বাইরে রয়েছে ও সময় নেই হাতে, সেই সময় এটি ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ও স্যাঁচস্যাঁতে, উভয় চুলেই ব্যবহার করা যায়। প্রয়োগ করার পর চুল ধুয়ে ফেলার দরকার নেই। চুলকে নরম করার জন্য শিয়া বাটারের মতোন উপাদান ব্যবহার করলে চুলের জট ছাড়ানো সহজ হয়।

তেল: ভেষজ তেল একটি অ্যান্টিস্ট্যাটিক হিসেবে কাজ করে। জটের সমস্যাও দূর হয়। তবে আগে দেখে নিন চুল ঠিকভাবে কন্ডিশনার আছে কিনা। চুলের অত্যাধিক অবশিষ্টাংশ জট দূর করতে পেট্রোলিয়ামজত তেল কাজে লাগে। শুষ্কতা এড়াতে নিয়মিত চুলে তেল দিন। আপনি নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল বা মিষ্টি বাদাম তেলের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার, টি ট্রি বা রোজমেরির মতো প্রয়োজনীয় তেলের ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে অনেক বেশি জট পড়লে ভেঙে যায়। সেই সমস্যা দূর করতে অলিভ অয়েলের কয়েক ফোঁটা লাগান এবং তেলটি আপনার মাথার ত্বকে এবং স্ট্র্যান্ডে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এবার স্টিমারের নীচে বসতে পারেন বা আপনার মাথায় একটি উষ্ণ তোয়ালে জড়িয়ে রাখতে পারেন।

জল: আর্দ্রতা বিচ্ছিন্ন করা সহজ করে তুলতে পারে। চুলে টান বা জট অপসারণের জন্য হাইড্রেশন রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চুলে ব্রাশ করার আগে, স্প্রে বোতল থেরে জল ছিটিয়ে নিন। এরপর আঙুল দিয়ে চুলের জট পরার অংশে চিরুনির মত আঁচড়ে নিন। কারপর চুলকে ভাগ করে বড় দাঁতযুক্ত চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। মনে রাখবেন, গোড়া থেতে চুল আঁচড়াবেন না। চুলের নিচ থেকে শুরু করুন। নিচের কিছু ইঞ্চি থেকে চিরুনি ব্যবহার করুন। তারপর আস্তে আস্তে উপরের দিকে আঁচড়ান।

হেয়ার মাস্ক: আপনার চুলে যদি প্রতিদিন জট পড়ে তাহলে শুষ্ক চুলের লক্ষণ হতে পারে। চুলকে হাইড্রেশনন প্রদানের জন্য আর্দ্রতাযুক্ত একটি হেয়ারমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন ধরণের হেয়ার মাস্ক রয়েছে। তবে ঘরোয়াভাবে যদি তৈরি করতে চান, তাহলে ডিম, কলা. মধু ও কলা মিশিয়ে একটি হেয়ার মাস্ক প্রয়োগ করতে পারেন। তাতে চুল থাকে নরম ও মসৃণ।