Hair Oiling Mistakes: মাথায় তেল ব্যবহার করার সময় এই ৬ ভুল করলেই হারাতে পারেন সাধের চুল!
How To Avoid : অনেকসময় চুলে ভুল পদ্ধতি ও ভুল তেল প্রয়োগ করে মস্তবড় ক্ষতি করে ফেলেন নিজেরেই, সেদিকে খেয়াল রেখে কী কী মাথায় রাখবেন , তা জেনে নিন...
প্রতিদিন চুলে তেল (Hair Oil) প্রয়োগ করলে কী কী উপকার পেতে পারেন তা আজকের প্রজন্মের অনেকেই তা জানেন না। অনেকের ধারণা, মাথার চুলে (Hair Treatment) তেল ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হয়। কিন্তু তেল মাথার ত্বকের (Hair Scalp) জন্য উপকারী। মাথার ত্বকে যখন আলতো করে ম্যাসাজ করেন, তখন এটি এক্সফোলিয়েশন করতে সাহায্য করে। তাতে চুল পড়া রোধ হয়, চুলের গোড়া মজবুত হয়। নারকেল তেল, আমন্ড অয়েল, ক্য়াস্টর অয়েল, পেঁয়াজের তেল ও আমলা তেল চুল ও মাথার ত্বকের জন্য সেরা বলে বিবেচিত হয়। অনেকেই জানেন হয়ত, আগেকার দিনে চুলকে সুন্দর করে তুলতে দিদা-ঠাকুমারা বেশ করে তেল লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ চুল আঁচড়ে নিতেন। আর তাতেই বছরভর চুল থাকত ঘন, কালো ও স্বাস্থ্যকর। চুল ও মাথার ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য হেয়ার অয়েলের অবদান অনস্বীকার্য। তবে অনেকসময় চুলের ধরন দেখে হেয়ার অয়েল বেছে নেওয়া হয় না। চুলে তেল দেওয়ার একটি সঠিক উপায় রয়েছে। অনেকসময় চুলে ভুল পদ্ধতি ও ভুল তেল প্রয়োগ করে মস্তবড় ক্ষতি করে ফেলেন নিজেরেই, সেদিকে খেয়াল রেখে কী কী মাথায় রাখবেন , তা জেনে নিন…
১. মাথার ত্বকে যদি খুশকি হয়, তাহলে কখনওই সেই সময় তেল দেওয়া উচিত নয়। মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে অ্যালোভেরা জেল, গুঁড়ো করা নিম পাতা বা নিমের তেল ব্যবহার করা উচিত।
২. তেল মেখে দীর্ঘক্ষণ ধরে রেখে দিলে অনেতেই মনে করেন তেলের সমস্ত গুণ মাথার ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করবে। অধিকাংশই মনে করেন, সারারাত ধরে মাথার চুলের মধ্যে তেল রেখে দেওয়া ভাল। এখানেই সকলে ভুলটি করেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে মাথার ত্বকে তেল থাকলে তুলের ফলিকলগুলি ঢেকে যেতে পারে। এছাড়া সারারাত তেল না রেখে মাত্র ২-৪ ঘণ্টার মত অপেক্ষা করতে পারলেই ভাল। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলা উচিত। দিনের বেলায় চুলের ধরন ও ঋতু অনুসারে গরম তেল দিয়ে মাথার ত্বকে প্রয়োগ করলে সবচেয়ে ভাল ফল পেতে পারেন। সারারাত তেল দেওয়া থাকলে ধুলো-ময়লা জমে চুলের অবস্থা আরও শোচনীয় করে তোলে।
৩. খাওয়ার পর বা সূর্যাস্তের পর তেল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। কারণ চুলের ফলিকলগুলি স্বাভাবিকভাবেই দিনের শেষে বন্ধ হয়ে আসে। তাতে তেল ভালভাবে শোষিত হবে না। আপনার যদি অ্যালার্জি, সর্দি,কাশি হাপানি, সাইনোসাইটিস, ঘাড়ে ব্যথার লক্ষণ থাকে, তাহলে সারারাত মাথায় তেল প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
৪. অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল না। তাই মাথা ত্বকে তেল ম্যাসাজ করার সময় অতিরিক্ত তেল প্রয়োগ করবেন না। প্রথমে হাতের তালুর পরিমাণ তেল নিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তারপর যদি মনে করেন, তাহলে আরও অল্প পরিমাণ তেলের প্রয়োজন, তখন হাতের তালুর অর্ধেক পরিমাণ তেল নিন। যত বেশি তেল প্রয়োগ করবেন তত বেশি চুলে ধুলো, ময়লা লেগে তা আরও কঠিন হয়ে যাবে। দীর্ঘক্ষণ ধরে শ্যাম্পুর ব্যবহারে চুলকে আরও ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়া হবে।
৫. মাথার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় , তাহলে তেল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। তৈলাক্ত চুল ও মাথার ত্বকের জন্য় যেকোনও তেলই ভাল নয়। তবে শুষ্ক চুল ও তৈলাক্ত মাথার ত্বকের অধিকারী হলেও তেল ব্যবহার করবেন না। তাতে মাথার ত্বকের ছিদ্রপথগুলি বুজে যাবে। পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে চুল নরম করতে পারেন।
৬. ভাল পুষ্টির জোগান পেলে চুলের গোড়া হয় মজবুত হয়। চুল হয় উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর। চুলের গোড়া মজবুত করতে ও চুল পড়া রোধ করতে তেল ব্যবহার করা ভাল। যদি আপনার অতিরিক্ত চুল পড়ে তাহলে তেল কখনও ব্যবহার করবেন না। পরিবর্তে, দই, ভেজানো মেথি, কালো জিরের একটি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এছাড়া একটি ডিম ফেটিয়ে তাতে কলা বা অ্যাভোকাডো যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ২০ মিনিট মাথার ত্বকে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।