Siddiqullah Chowdhury: ‘ও রাজনীতিতে আমার চেয়ে অনেক বড়, কিন্তু মুসলমানদের নিয়ে লড়াইয়ে..’, ফিরহাদকে কিসের খোঁচা দিলেন সিদ্দিকুল্লা?

Siddiqullah Chowdhury: সিদ্দিকুল্লা স্পষ্ট বলছেন, “আমি তৃণমূলের ওয়াকফ বিরোধী সভায় থাকব না। কারণ আমার উত্তরবঙ্গে বইমেলা আছে। আমি ববি হাকিমকেও জানিয়েছি। আমি থাকতে পারব না।” তবে শনিবারের সভার কথা পরবর্তীতে তিনি যে সংবাদমাধ্যম মারফত তিনি জেনেছেন তাও জানান।

Siddiqullah Chowdhury: ‘ও রাজনীতিতে আমার চেয়ে অনেক বড়, কিন্তু মুসলমানদের নিয়ে লড়াইয়ে..’, ফিরহাদকে কিসের খোঁচা দিলেন সিদ্দিকুল্লা?
কী বলছেন সিদ্দিকুল্লা? Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2024 | 12:43 AM

কলকাতা: ওয়াকফ নিয়ে জটিলতা চলছেই। ওয়াকফ বিলের বিরোধিতায় শনিবারই পথে নামতে চলছে তৃণমূল। এদিকে এরইমধ্যে বিস্ফোরক দাবি করে বসেছেন সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। শনিবারের সমাবেশের ব্যাপারে নাকি তিনি কিছুই জানেন না। সাফ বলেছেন, ‘ শুনেছি তৃণমূল একটা সভা ডেকেছে। আমি এ ব্যাপারে জানি না।’ এদিকে একই ইস্যুতে সুর চড়িয়ে বৃহস্পতিবার কর্মসূচি নিয়ে ফেলল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। কিন্তু তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের তরফে, সোজা কথায় দলের তরফে যেখানে একটা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে সেখানে আলাদা কর্মসূচি কেন? এই প্রশ্নেই তৃণমূলের নবীন-প্রবীন দ্বন্দ্বের আবহেই আবার নতুন চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। 

যদিও সিদ্দিকুল্লা স্পষ্ট বলছেন, “আমি তৃণমূলের ওয়াকফ বিরোধী সভায় থাকব না। কারণ আমার উত্তরবঙ্গে বইমেলা আছে। আমি ববি হাকিমকেও জানিয়েছি। আমি থাকতে পারব না।” তবে শনিবারের সভার কথা পরবর্তীতে তিনি যে সংবাদমাধ্যম মারফত তিনি জেনেছেন তাও জানান। সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। বলেন, “তৃণমূলের সভার কথা আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। আমি মুশারফকে বলেছি আমার সঙ্গে একটা পরামর্শ করার প্রয়োজন ছিল। পরামর্শ নেওয়া হয়নি। কিন্তু মুসলমানের অধিকার রক্ষায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর ধারে কাছে কেউ নেই।” 

একইসঙ্গে একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বসেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও। স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ববি হাকিম রাজনীতিতে আমার চেয়ে অনেক বড়। কিন্তু মুসলমানদের নিয়ে লড়াই আন্দোলনে আমার সংগঠনের ধারে কাছে কেউ নেই।” তাঁর এ মন্তব্য নিয়েই এখন জোর চর্চা। প্রসঙ্গত, তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের আবহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাট ধরে ফিরহাদদের আক্রমণ করে বসেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি, অভিষেককে কোণঠাসা করা হচ্ছে দলে। বিতর্কের মধ্যে তাঁকে ইতিমধ্যেই হুমায়ুনকে শোকজ করেছে দল।