Colored Hair: লুক পরিবর্তন করতে ভরসা হেয়ার কালার; যে ভাবে যত্ন নেবেন সদ্য রঙ করানো চুলের…
Hair Care Tips: একটা ছোট্ট হেয়ার কাট আর হেয়ার কালারই বদলে দিতে পারে আপনার সম্পূর্ণ লুক। শখ করে চুলে হাইলাইটও করিয়ে নিতে পারেন।
নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট একটু পরিবর্তন করতে শুধু কি পোশাকে পরিবর্তন আনলেই হয়ে যায়? একদম নয়। বরং পোশাকে বদল না এনেও আপনি বদলে ফেলতে পারবেন আপনার লুক। আর এর জন্য দরকার একটা মেকওভার। এই মেকওভারে বিশেষ কিছু ভাবে নিজেকে সাজানোর প্রয়োজন নেই আপনার। একটা ছোট্ট হেয়ার কাট আর হেয়ার কালারই বদলে দিতে পারে আপনার সম্পূর্ণ লুক। শখ করে চুলে হাইলাইটও করিয়ে নিতে পারেন। আর যদি একটু অন্যরকম কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে রয়েছে লাল-নীল-গোলাপি চুলের বাহার। কিন্তু সমস্যা হল শখের রঙিন চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে? যদিও এটাও কোনও কঠিন কাজ নয়। যদি এই পুজোতে চুলে রঙ করানোর প্ল্যান করেন, তাহলে আগে থেকেই জেনে রাখুন এমন চুলের যত্ন কীভাবে করতে হয়…
এখন কী শ্যাম্পু ব্যবহার করেন? চুলে রঙ করানোর পর কিন্তু এই শ্যাম্পু বদলে ফেলতে হবে। চুলে রঙ করার পর কী শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন, সেটা ভীষণ জরুরি। সালফেট যুক্ত শ্যাম্পু চুলের রঙ নষ্ট করে দিতে পারে। তাছাড়া এই ধরনের শ্যাম্পু চুলকে রুক্ষ করে তোলে। এর বদলে কালার প্রোটেক্ট শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সেই শ্যাম্পুতে সোডিয়াম লরিল সালফেট (SLS) এবং সোডিয়াম লরেথ সালফেট (SLES) এর মতো রাসায়নিক যেন না থাকে, সেই দিকে খেয়াল রাখুন। পাশাপাশি চুলে রঙ করানোর ৭২ ঘণ্টা পড়ে শ্যাম্পু করুন। এর মধ্যে চুলে রঙ ঠিকঠাক ভাবে ধরে নেবে।
চুলে রঙ করার পর চুল খুবই আকর্ষণীয় দেখায়। পাশাপাশি চুল খুবই উজ্জ্বল দেখায়। এই কারণে অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করা ছেড়ে দেন। কিন্তু এই ভুল আপনি করবেন না। বরং সবসময় চেষ্টা করুন ভেষজ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করার। এতে চুল কম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পাশাপাশি চুলের এই চকচকে ভাব বজায় থাকবে চিরকাল।
চুলে রঙ করানোর পর চুলের যত্ন নেওয়া জরুরি। নাহলে চুলে রঙ বেশিদিন স্থায়ী হবে না এবং চুলের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাবে। এই কারণে আপনি নিয়মিত হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার রঙিন চুলের জন্য এমন একটি হেয়ার মাস্ক বেছে নিন যাতে অ্যামিনো অ্যাসিড, প্রোটিন এবং আয়রন রয়েছে। এই উপাদানগুলো চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এগুলো চুলকে পুষ্টির জোগান দেয়।