Hair Fall: স্ট্রেসের কারণে গোছা গোছা চুল উঠছে? পরিস্থিতি সামাল দেবেন যে ভাবে…
Mental Stress: নানা শারীরিক অবস্থার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু অনেক সময় মানসিক চাপও চুল পড়ার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে।
ঘরোয়া প্রতিকার থেকে নামী-দামি ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে ফেলেছেন। কিন্তু কোনওভাবে আটকাতে পারছেন না চুল পড়াকে। একবার চুল আঁচড়ালেই গোছা গোছা চুল উঠে আসছে চিরুনিতে। এটাই বাড়িয়ে তুলছে আরও মানসিক চাপ। এক মিনিট, মানসিক চাপ বাড়ছে? আপনার চুল পড়ার পিছনে এই মানসিক চাপই দায়ী নয় তো? দিনে ৫০-১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু এর বেশি চুল পড়লে জানবেন সমস্যা রয়েছে অন্য কোথাও। শ্যাম্পু ও অন্যান্য চুলের পণ্য পরিবর্তন করেও যখন কোনও ফল পান না, তখন বুঝে নিতে হবে সমস্যাটা চুলের নয়, আপনার স্বাস্থ্যের। নানা শারীরিক অবস্থার কারণে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম কারণ হয়ে ওঠে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল উঠে যাওয়ার অন্যতম কারণ মানসিক চাপ। অত্যধিক স্ট্রেস যে শুধু মনের বা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে তা নয়। স্ট্রেস শরীরের প্রতিটা অঙ্গের উপর চাপ সৃষ্টি করে। হার্ট থেকে শুরু করে চুলও। আসলে অত্যধিক স্ট্রেসের কারণে শরীরের সব অংশে পুষ্টির বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। পাশাপাশি স্ট্রেসের কারণে শরীরে এমন হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় যা চুলের স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলে। চুল ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় এবং চুল উঠতে শুরু করে।
অন্যদিকে, অত্যধিক মাত্রায় স্ট্রেস বেড়ে গেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হতে থাকে। এই হরমোন চুলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। পাশাপাশি এই সময় শরীরে চুলের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে এমন হরমোন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায়। স্ট্রেসের কারণে চুল ওঠা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায় হল মানসিক চাপ কমানো। একমাত্র এই উপায়েই আপনি চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর পাশাপাশি বেশ কিছু উপায় রয়েছে যা আপনি এই মুহূর্তে মেনে চলতে পারেন।
-প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। ডায়েট চিকেন, মাছ বা ডিমের মধ্যে যে কোনও একটি খাবারকে প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন। নিরামিষ খাবারের মধ্যে যে কোনও ধরনের ডাল, পনির, ছোলার মতো খাবার খেতে পারেন।
-চুলের গোড়া মজবুত করতে নারকেল তেল দিয়ে মালিশ করুন। আমলকির তেলও ব্যবহার করতে পারেন। তেল সামান্য গরম করে নিতে মাথায় ম্যাসাজ করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে মানসিক চাপও সামান্য কমতে পারে।
-চুলের বিশেষ খেয়াল রাখুন। স্নানের পর ভাল করে চুল শুকিয়ে নিন। কিন্তু চুল শুকনো করার জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না। পাখার হাওয়া কিংবা ঘরোয়া তাপমাত্রায় চুল শুকিয়ে নিন এবং তারপর চুলে চিরুনি ব্যবহার করুন।
-হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখা মেথির পেস্ট বানিয়ে নিন। এতে সামান্য টকদই মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন।