হাইপোথাইরয়েডের কারণে কমে যায় থাইরয়েড হরমোনের কার্যক্ষমতা। এর প্রভাব এসে পড়ে ত্বকেও। ত্বকে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ঘামের অভাব দেখা যায়। রুক্ষ হয়0 ত্বক। ভারতে ৫০জন রোগীর উপর একটি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা। তাতেই জানা যায়, থাইরয়েড হরমোনের কম নিঃসরণের কারণে কতখানি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের ত্বক।
কিন্তু সুখের খবর এটাই, এর চিকিৎসা আছে। তার জন্য সবসময় ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন জীবনে ত্বকের প্রতি যত্নবান হলে অনায়াসেই ত্বকের পেলবতা রক্ষা পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কী কী করতে হবে দেখুন –
১. ময়েশ্চারাইজার ও তেল – থাইরয়েডের কারণে ত্বক যেহেতু বেশি শুষ্ক হয়, তাই যত্নও নিতে হয় দ্বিগুণ। ময়েশ্চারাইজার ও তেল দুটোই ব্যবহার করুন। স্নানের সময় সাবান মাখার পর ভাল করে মাখুন তেল। স্নান সেরে বেরিয়ে হাতে-পায়ে মাখুন ময়েশ্চারাইজার। এত গেল স্নানের পরের রূপচর্চা। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও মাখুন ময়েশ্চারাইজার বা লোশন।
২. মাইল্ড সাবান ও বডি ওয়াশ – স্নানের সময় বেছে নিন কম রসায়ন যুক্ত সাবান ও বডি ওয়াশ। তাতে ত্বকের রুক্ষতা রুখতে পারবেন। অতিরিক্ত সুগন্ধি যুক্ত সাবান বা বডি ওয়াশ এড়িয়ে চলাই ভাল। গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
৩. অল্প সময়ে স্নান – অনেকে বেশি সময় শাওয়ারের তলায় দাঁড়িয়ে থাকেন। শরীরে অতিরিক্ত জল লাগান। তাতে কিন্তু রুক্ষতা বাড়ে। অল্প জলে স্নান করুন।
৪. গরম জল নয় – গরম জলে স্নান করলে ক্লান্তি দূর হয়, ভাল ঘুমও আসে। কিন্তু ত্বকের কথা ভেবে গরম, নয় ঠান্ডা বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলই ভাল।
৫. চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ – এতেও যদি সমস্যা না দূর হয়, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের (ডার্মাটোলজিস্ট) কাছে যান। তিনি আপনাকে যেভাবে ত্বকের যত্ন নিতে বলবেন, সেই মতো চলুন।
আরও পড়ুন: Monsoon: বর্ষায় ত্বকের চুলকানিতে নাজেহাল? ক্রিম নয়, ঘরোয়া উপায়েই মিলবে চটপট মুক্তি
আরও পড়ুন: সাবান নয়, রোজ টক দই মেখে স্নান করেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া