ভাইফোঁটা মানে যেমন ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন বোনেরা, তেমনই ফোঁটা হয়ে গেলে জমিয়ে খাওয়া দাওয়ার ব্যপারটাও কিন্তু রয়েছে। কষা মাংস, ভাত, ডাল, মাছ তো প্রত্য়েক বছর করেন। এই বছর বরং পাতে আনুন একটু নতুনত্বের ছোঁয়া। গতানুগতিক আলু দিয়ে মটনের ঝোল না রেঁধে ভাইফোঁটায় পাতে রাখুন নবাবি ছোঁয়া। আর টুক করে রেঁধে ফেলুন মটন দরবারী। এই পদ খেতে যেমন সুস্বাদু, রান্না করাও তেমনই সহজ। রইল রেসিপি।
উপকরণ –
মটন – ৫০০গ্রাম।
পেঁয়াজ – মাঝারি সাইজের একটি স্লাইস করে কাটা।
টক দই – ৩ টেবিল চামচ।
আদা – ২ চা চামচ। (পাতলা স্লাইস করে কাটা)।
জিরে গুঁড়ো – ২ চা চামচ।
ধনে গুঁড়ো – ৪ চা চামচ।
গরম মশলা গুঁড়ো – ১ চা চামচ।
জায়ফল গুঁড়ো – ১ চা চামচ।
হিং – এক চিমটে।
ঘি – ২ টেবিল চামচ।
নুন – স্বাদ মতো।
ধনে পাতা – ১ কাপ কুঁচি করে কাটা।
তেল – পরিমাণ মতো।
প্রণালী –
প্রথমে এক বাটি জল নিন। তাতে ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, গোলমরিচ গুঁড়ো, জায়ফল গুঁড়ো, এক চিমটে হিং সব একসঙ্গে মিশিয়ে গুলে নিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন।
এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে কেটে রাখা পেঁয়াজ ভাল করে ভেজে বেরেস্তা করে তুলে রাখুন। এ বার কড়াইয়ে ঘি গরম করে তার মধ্যে মটন, দই, লঙ্কা গুঁড়ো ও আদা দিয়ে ভাল করে কষান।
আগে থেকে তৈরি করে রাখা মশলার পেস্ট দিয়ে কষাতে থাকুন। ৩০ মিনিট পরে ভেজে রাখা পেঁয়াজ উপরে দিয়ে দিন। এ বার পরিমাণ মতো নুন দিয়ে আবার রান্না করুন যত ক্ষণ না জল ও ঝোল শুকিয়ে আসে।
ঝোল প্রায় শুকিয়ে এলে ধনে পাতা ও পেঁয়াজ ভাজা দিয়ে গার্নিশ করে নামিয়ে নিন। ব্যস তৈরি আপনার ভাইফোঁটা স্পেশাল মটন দরবারী।