International Workers Day: জিনসের ইতিহাস জানলে ছেঁড়া জিনস আর কখনও পরবেন না! কেন, জানেন?

Remarkable History of Jeans: ষোড়শ শতকের জিন্স বা ডেনিমের সঙ্গে বর্তমান যুগের জিনসের রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য় হল রিভিট। ১৯ শতকে ডেভিস নামে এক লাতভিয়ানের হাতে তৈরি হয়।

International Workers Day: জিনসের ইতিহাস জানলে ছেঁড়া জিনস আর কখনও পরবেন না! কেন, জানেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 7:16 PM

ছোট থেকে প্রবীন, সকলের প্রিয় প্য়ান্ট হিসেবে সারা বিশ্বে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছ জিনস (Jeans)। তরুণ-তরুণী থেকে প্রবীণ-প্রবীণা, সকলের কাছেই অত্যন্ত সহজ ও সস্তার মজবুত প্যান্ট (Pants) হিসেবে পরিচিত। জিনসের জনপ্রিয়তা শুধু প্রয়োজনেই নয়, স্টাইলের দিক থেকেও সব পোশাকের থেকে আগে জায়গা করে নিয়েছে। একটি জিনস, আর তার সঙ্গে ৩-৪টে রকমারি পোশাক নিলেই ব্যাগ গোছানো রেডি। এমন সস্তায় পুষ্টিকরকে কেউই হাতছাড়া করতে রাজি নন। সুযোগের সদ্ব্যবহারও করেন সেলেব্রিটিরাও। তবে ফ্যাশন দুনিয়ায় (Fashion World) জিনসের গুরুত্ব কিন্তু স্টাইলের জন্যই তৈরি করা হয়নি। এই জিনস আসলে প্রথম তৈরি করা হয়েছিল শ্রমজীবী মানুষদের (Workers) পোশাক হিসেবে।

আজ আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী দিবস (International Workers Day)। জিনসের উত্‍পত্তির কারণ হিসেবে তাঁদের অবদানও অনস্বীকারর্য। তাই ইতিহাসের কথা জানলে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যাবে। ষোড়শ শতক থেকে জিন্স শব্দটির ব্যবহার শুরু। সেই সময় শ্রমজীবীদের জন্য মজবুত ও শক্ত পোশাক হিসেবে জিনসের ব্যবহার করা হত। এই পোশাক প্রথম তৈরি হত ইতালির জেনোয়া এলাকায়। সেখান থেকে প্যান্টের পরিচিতি বাড়ে জিন হিসেবে। এর কিছুদিন পর. ফ্রান্সের নিম (Nimes) এলাকার তাঁতিরা এই ধরনের কাপড় তৈরি করতে শুরু করেন। সেই পোশাকের পরিচিতি পায় ডি নিম (De Nimes) নামে। ধীরে ধীরে সেই নাম পরবর্তী কালে ডেনিম নাম বিখ্যাত হয়ে ওঠে।

জিনসের ইতিহাস

ষোড়শ শতকের জিন্স বা ডেনিমের সঙ্গে বর্তমান যুগের জিনসের রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য় হল রিভিট। ১৯ শতকে ডেভিস নামে এক লাতভিয়ানের হাতে তৈরি হয়। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাভাদায় তিনি বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। খনি শ্রমিকদের জন্য প্যান্ট বিক্রি করে ভালই উপার্জন করেছিলেন। জানা যায়, একবার এক খনি শ্রমিকের স্ত্রী অনুরোধের সুরে জানিয়েছিলেন, শ্রমিক স্বামীর প্যান্টের পকেট প্রায় দিনই ছিঁড়ে যায়। প্রতিদিনের এই সমস্যা থেকে কীভাবে রেহাই পাওয়া যায়, তার উপায় বের করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি।

সেই নিয়ে দিনরাত ভাবতে শুরু করেন জ্যাকব ডেভিস। ঘোড়সওয়ারের আসনের অনুকরণে রিভিট ব্যবহার করা শুরু করেন। প্যান্টের যেসব জায়গায় ছিঁড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, সেইসব জায়গায় ধাতব রিভিট বসিয়ে দিতে শুরু করলেন। এবার নিজের জিনসের প্যান্টের সামনে ও পিছনে বোতামের মত যে রিভিট রয়েছে, তা আদৌও স্টাইল বা সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য বসানো হয়নি।

প্যান্ট তৈরির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীমনস্ক মাথায় খেলে গেল আরও এক দিক। এই ধরনের প্যান্ট যে বাজারে দারুণ বিক্রি বেড়ে গেলে লিভাই স্ট্রাউস নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে জুটি বেঁধে প্য়ান্টের পেটেন্ট করিয়ে নেন। প্রথম দিকে দুধরনের জিনস তৈরি করতে শুরু করেন। পরে দেখা যায় নীল রঙের জিনসের বিক্রির প্রবণতা বেশি তৈরি হয়েছে। এই নীল রঙা জিনস ছাড়া আরও একটি প্যান্ট তৈরি করা হত, যেটি তাঁবু খাটানোর কাপড়ের মত কাপড় দিয়ে তৈরি করা হত। অত্যন্ত মজবুত ও টেকসই প্য়ান্টের চাহিদা বেড়ে যায় দ্রুত। তাঁবুর কাপড়ের মত কাপড় দিয়ে তৈরি প্য়ান্টের চেয়ে ডেনিম নাল জিনস জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

নীল রঙই কেন জনপ্রিয় হয়, তা অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। সেই সময় আমেরিকায় নীল চাষ হত। তাই এই প্রাকৃতিক নীল রঙটি ছিল সবচেয়ে সহজলোভ্য ও দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে প্যান্টে লেগে থাকত নানান দাগ। সেই সব দাগ লুকোতে নীল রঙ ছিল সবচেয়ে কার্যকর। আবার অন্যদিকে নীল রঙে উঠে গিয়ে হালকা হয়ে গেলেও সেই প্যান্ট পরাও যেত অনায়াসে। খাটনির টাকা দিয়ে কেনা প্যান্টকে যে কোনও ভাবেই ব্য়বহার করা যেত।

আরও পড়ুন: Kiara Advani: তপ্ত গরমেও নজর কাড়বেন কীভাবে? সামার কালেকশনের জন্য উঁকি দিন কিয়ারার ওয়্যার্ড্রোবে

তথ্য সৌজন্যে- গুগল