AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রোঁয়া উঠবে না, চলবে বছরের পর বছর, সোয়েটার-চাদর কাচতে কী ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন?

How to take care of winter clothes: সোয়েটার থেকে টুপি, মাফলার রয়েছে। পাশাপাশি আলমারি থেকে নেমেছে চাদর, কম্বল, লেপ-কাঁথাও। সেগুলো অবশ্যই রোদে দিয়েই ব্যবহার করছেন। উলের তৈরি শীতবস্ত্র শুধু রোদে দিলে চলবে না। সেগুলো আপনাকে কাচতেই হবে।

রোঁয়া উঠবে না, চলবে বছরের পর বছর, সোয়েটার-চাদর কাচতে কী ধরনের সাবান ব্যবহার করবেন?
| Updated on: Dec 23, 2023 | 1:37 PM
Share

উৎসবের আমেজ চারদিকে। বড়দিন, নতুন বছর উৎযাপনের মরশুম। পার্ক স্ট্রিট, নিউ মার্কেট সেজে উঠেছে আলোয়। ক্যাফে, রেস্তোরাঁর মেনুতে যোগ রয়েছে নতুন ডেজার্ট‌, কফি। পোশাকের দোকানেও ঝুলছে রং-বেরঙের সোয়েটার ও মাফলার। যদিও আলমারি থেকেও নেমেছে বাহারি জ্যাকেট। দু’টো মাস ঠিকঠাক শীত থাকে, তার জন্য বছর-বছর নতুন পোশাক কেনা সম্ভব নয়। আর যদি দামী একটা জ্যাকেট কেনেনও, সেটা যাতে টেকসই হয়, সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার। পছন্দের সোয়েটারে যাতে রোঁয়া উঠে না যায়, সোয়েটশার্টের রং চটে না যায়, তার জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হবে। তাই শীতবস্ত্র কাচাকুচি কীভাবে করবেন সেটা জানা দরকার।

সোয়েটার থেকে টুপি, মাফলার রয়েছে। পাশাপাশি আলমারি থেকে নেমেছে চাদর, কম্বল, লেপ-কাঁথাও। সেগুলো অবশ্যই রোদে দিয়ে ব্যবহার করছেন। কিন্তু রোজ ব্যবহারের ফলে কম্বল, লেপ থেকেও দুর্গন্ধ ছাড়ে। কম্বল-লেপ সাবান জলে ধোয়া সম্ভব নয়। এগুলো সপ্তাহে একদিন করে রোদে দিন। এতে সমস্ত দুর্গন্ধ কেটে যাবে। পাশাপাশি সমস্ত ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে।

উলের তৈরি শীতবস্ত্র শুধু রোদে দিলে চলবে না। সেগুলো আপনাকে কাচতেই হবে। কিন্তু উলের তৈরি পোশাক সাধারণ কাপড় কাচার সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা যায় না। এতে রং চটে যাওয়ার, রোঁয়া উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতে ওই সোয়েটার আর পরের শীতে পরার মতো যোগ্য থাকে না। একই ঘটনা ঘটে সোয়েট শার্ট, চাদর, জ্যাকেটের ক্ষেত্রেও। কোন উপায়ে শীতবস্ত্র কাচলে বছরের পর বছর নতুন থাকবে, রইল টিপস।

ঘন ঘন শীতের পোশাক কাচবেন না। একদিন সোয়েটার পরার পরই কেচে ফেলার অভ্যাস কিন্তু আপনার পোশাকের জন্য ভাল নয়। এতে পোশাক টেকসই হয় না। পাশাপাশি গরম জলে উলের পোশাক কাচবেন না। শীতবস্ত্র কাচার জন্য ঠান্ডা জল ব্যবহার করুন। এতে উলের তৈরি পোশাক দীর্ঘদিন ভাল থাকে।

সাধারণ জামাকাপড় কাচার সাবান দিয়ে উলের পোশাক কাচবেন না। বাজারে শীতবস্ত্র কাচার জন্য আলাদা ডিটারজেন্ট পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো লিক্যুইড সোপ হয়। গুঁড়ো সাবান শীতবস্ত্রের জন্য নয়। তবে, কাঁথা, লেপ-কম্বলের কভার আপনি গুঁড়ো সাবান দিয়ে কাচতে পারেন, যেহেতু এগুলো সুতির হয়। বাড়িতে যদি লিক্যুইড সোপ না থাকে, তাহলে শীতবস্ত্র কাচতে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু গুলে নিন। এর মধ্যে উলের বস্ত্র ডুবিয়ে রেখে কেচে নিন।