Cannes 2022: ফের প্রতিবাদে গর্জে উঠল রেড কার্পেট! পোস্টার আর স্মোক গ্রেনেডের ধোঁয়ায় ঢাকল কান উত্‍সব

Domestic Violence in France: ফ্রান্সের এই বিখ্যাত ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উত্‍সবে এই প্রতিবাদ প্রথম নয়। এর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচার ও রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় সোচ্চার হয়েছিলেন এক মহিলা।

Cannes 2022: ফের প্রতিবাদে গর্জে উঠল রেড কার্পেট! পোস্টার আর স্মোক গ্রেনেডের ধোঁয়ায় ঢাকল কান উত্‍সব
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 24, 2022 | 11:53 AM

ফের প্রতিবাদের ভাষায় গর্জে উঠল কান উত্‍সবের রেড কার্পেট (Cannes Red Carpet)। পর পর বিক্ষোভের সাক্ষী থাকল ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উত্‍সব (75th Cannes Film Festival)। দুদিন আগেই এক অর্ধনগ্ন মহিলা ইউক্রেনিয় মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচার ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। বিশিষ্ট অতিথিদের হাঁটাচলার মধ্য়েই এক তরুণী হঠাত করে পোশাক ছিঁড়ে দৌড়ে বেড়ানোয় হকচকিয়ে যান সকলে। পরিস্থিতি বোঝার আগেই ওই তরুণী তীব্র প্রতিবাদের সুরে বলতে থাকেন, ‘আমাদের ধর্ষণ করা বন্ধ হোক! এবার ফের একবার অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থাকল কানের রেড কার্পেট।

সম্প্রতি, রেড কার্পেটে কালো গাউন পরে একদল মহিলা ফ্রান্সে গার্হস্থ্য হিংসার শিকারকে এক হাতে নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁদের হাতে ছিল আন্দোলনের বিশাল ব্য়ানার। যেখানে ফরাসি ভাষায় লেখা বহু মহিলাদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই নামগুলি আসলে মহিলাদের, যাঁরা ফ্রান্সে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছেন, পুরুষদের হাতে মার খেয়ে অত্যাচারিত হয়েছেন এমনকি মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারে মৃত্য়ুও হয়েছে। সাদা লম্বা পোস্টারের উপর কালো রঙের কালি দিয়ে লেখা ১২৯ জন মহিলার নামের লিস্টের পাশাপাশি স্মোক গ্রেনেডও জ্বালান তাঁরা। যার কারণে রেড কার্পেট জুড়ে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। ঘটনার ভিডিয়ো ও ছবি ইন্টারনেটে শেয়ার হতেই হৈচৈ শুরু হয়ে নেটপাড়ায়।

প্রসঙ্গত, ওইদিন, ‘হলি স্পাইডার’ ছবির প্রিমিয়ারের ঠিক আগেই বিক্ষোভকারীরা রেড কার্পেট দখল করেছিল। পরিচালক আলি আব্বাসির এই থ্রিলার সিনেমাটি ইরানে মাশহাদ শহরের পটভূমিতে তৈরি হয়েছে। এক মহিলা সাংবাদিকের কাহিনি অনুসারে সিনেমাটি তৈরি করেছেন পরিচালক। যেখানে একজন সিরিয়াল কিলারের তদন্তের জন্য ও সাংবাদিক তদন্তে নামেন। তদন্তে জানা যায়, শহরের বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সিনেমাটি সিরিয়াল কিলার সাইদ হানাইয়ের বাস্তব জীবনের গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ জন মহিলাকে হত্যা করেছিলেন।

ফ্রান্সের এই বিখ্যাত ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উত্‍সবে এই প্রতিবাদ প্রথম নয়। এর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের মহিলাদের ধর্ষণ ও যৌন অত্যাচার ও রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় সোচ্চার হয়েছিলেন এক মহিলা। জর্জ মিলারের’থ্রি থাউজেন্ড ইয়াপস অফ লংগিং’- সিনেমার প্রিমিয়ারের সময় এই অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটেছিল। হলিউড রিপোর্টার অনুসারে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনের মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছেন রাশিয়ান সৈন্যরা। প্রতিদিনই ধর্ষণের অসংখ্য খবর পাওয়া গিয়েছে।