Breakfast Cereals: রোজ ব্রেকফাস্টে ওটস কর্নফ্লেক্স তো খাচ্ছেন, তবে ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন কি?
Side-Effects of Breakfast Cereals: এই কর্নফ্লেক্স বা মুজলির মধ্যে থাকে HFCS। যার গেলাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়
ব্রেকফাস্টে সিরিয়ালস হল প্রথম এবং সাধারণ পছন্দ। অধিকাংশ মানুষই পেট ভরাতে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে সকালে দুধ-ওটস, দুধ-কর্নফ্লেক্স বা দই ওটস এসব খেয়ে থাকেন। অনেকের পছন্দ হল মুজলি। এই সবকটি সিরিয়ালস খেতে যেমন ভাল তেমনই স্বাস্থ্যকরও। ওজন কমাতে ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। চট করে খাওয়া হয়ে যায়। ব্রেকফাস্ট বানানোর কোনও ঝক্কি থাকে না। আজকাল সকলেই স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার কথা বলেন। সেই সঙ্গে ক্যালোরি যাতে কম খাওয়া হয় সেই দিকেও নজর রাখতে বলা হয়। তবে এমন কিছু সিরিয়ালস থাকে যার স্বাদ বাড়ানোর জন্য তার মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি বা মধু মেশানো থাকে। দিনের পর দিন সেই সব সিরিয়ালস খেলে সুগার ও এজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ অনেক প্রক্রিয়াকরণের পর এই সব সিরিয়ালস তৈরি করা হয়। এর ফলে তা হজমের জন্য অগ্ন্যাশয় থেকে বেশি পরিমাণ ইনসুলিন নির্গত হয়। আর কোশও দ্রুত গ্লুকোজ শোষণ করে নেয়।
দিনের পর দিন সেই সব সিরিয়ালস খেলে সুগার ও এজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ফলে ওজন কমার পরিবর্তে বেড়ে যায়। এছাড়াও যে সব সমস্যা আসে তা হল-
*এই কর্নফ্লেক্স বা মুজলির মধ্যে থাকে HFCS। যার গেলাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।
*এছাড়াও এই সব খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট বেশি পরিমাণে থাকে। প্রোটিন তুলনায় কম থাকে। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি খিদে পেয়ে যায়। এতে বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়।
*ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ফ্যাট গলাতে এই সব সিরিয়ালস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যার সম্ভাবনা থেকে যায়। শরীরের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন হরমোন তৈরি হতে পারে না। ওজন কমাতে গিয়ে তখন ডায়াবেটিসের মুখে পড়তে হয়।
*সিরিয়ালের নিজস্ব কোনও স্বাদ নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রিফাইন শস্য ব্যবহার করা হয়। বিক্রি বাড়ানোর জন্য তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় চিনি, ড্রাইফ্রুটস সহ একাধিক জিনিস। পরিশোধন করতে গিয়ে শস্যের খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। তখন ফাইবার আর খনিজের অভাব দেখা যায়।
*দিনের পর দিন এই ভাবে সিরিয়ালস খেলে শরীর আর নিজে থেকে গ্লুকোজ শোষণ করতে পারে না। যার ফলে পরবর্তীকালে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়।