Village Food: গ্রামের এই সস্তার ফলের বাজারে কদর খুবই কম, তবে স্বাস্থ্যগুণ জানলে চমকে যাবেন!
Amra: আমড়ার আয়ুর্বেদিক গুণাগুণও প্রচুর। আয়ুর্বেদে আমড়াকে বলা হয় আম্রতক। এ ছাড়া আমড়াগাছেরও রয়েছে অনেক ঔষধি গুণাগুণ
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদল আসে আমাদের খাওয়া-দাওয়াতেও। প্রতি ঋতুতেই এমন কিছু সবজি, ফল পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমের যে কোনও ফলই রসালো হয়। আম, কাঁঠাল, তরমুজ, জামরুল এই সব ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। তেমনই ভাদ্রের গরমে বাজারে আসে চালতা আর আমড়া। দেশি ফল আমড়া খেতে খুবই ভাল। আমড়ার চাটনি, আচার, টক এসব তো হয়ই। এছাড়াও অনেকে আমড়া নুন-লঙ্কা দিয়ে কাঁচাই মেখে খান। একসময় কলেজ-স্কুলের গেটের বাইরে আমড়া মাখা ছিল খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও আমড়া দিয়ে জ্যাম বানানো যা., আমড়া দিয়ে মাছের টক খেতেও লাগে বেশ ভাল। বিশেষত ইলিশ দিয়ে আমড়া খুবই জনপ্রিয় একটি রান্না।
আমড়ার আয়ুর্বেদিক গুণাগুণও প্রচুর। আয়ুর্বেদে আমড়াকে বলা হয় আম্রতক। এ ছাড়া আমড়াগাছেরও রয়েছে অনেক ঔষধি গুণাগুণ। এই গাছের বিভিন্ন অংশ ডায়ারিয়ার চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয়। কানের ব্যথা, ক্ষত আর হাইপারঅ্যাসিডিটির চিকিৎসাতেও ব্যবহার করা হয় এই আমড়া। আমড়ার অনেক উপকারী দিকও রয়েছে। মুখের রুচি ফিরিয়ে আনতেও আমড়া খুব উপকারী। এই সময়ে অধিকাংশ বাড়িতেই জ্বর, সর্দি কাশির সমস্যা। জ্বর হলে খাওয়ার কোনও রকম ইচ্ছে থাকেই না। আমড়ার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম, আয়রন। যে কারণে আমড়াকে গোল্ডেন আপেলও বলা হয়। তাই জ্বর, ডায়ারিয়া থেকে শুরু করে হজমের সমস্যা যে কোনও সমস্যাতেই কার্যকরী হল আমড়া।
এছাড়াও আরও যে সব স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে-
হজমের সমস্যায় উপকারী- আমড়ার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায। মায়োগ্লোবিন উৎপাদনে সাহায্য করে। গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যা দূরে রাখে। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে- আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। যা শরীরে অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূরে রাখে।
ভিটামিন C-এর ভাল উৎস- আমড়াতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এ কারণে এটি শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন হাড় ও দাঁতের রক্ষণাবেক্ষণ সহ নানা রোগের নিরাময়ে অনেক উপকারী ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া আমড়াতে থাকা ভিটামিন সি মানুষের দেহের প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা, দৃঢ়তা বজায় রাখতে এবং ত্বকের বলিরেখা প্রতিরোধেও ভালো কাজ করে।
হাড়কে মজবুত রাখে- আমড়ার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম। তাই নিয়মিত খেতে পারলে শরীরে ক্যালশিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়। হাড়ের যে কোনও রোগ যেমন দূরে রাখে তেমনই হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে- আমড়াতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। এই উপাদানগুলিই স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মূত্রের পরিমাণ বাড়ায়- আমড়ার রসের একাধিক ওষধি গুণ রয়েছে। শরীরল থেকে প্রস্রাবের মতো রেচক বের করে দিতে ভূমিকা রয়েছে এই আমড়ার। ফলে শরীর থেকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও ভাল কাজ করে আমড়া।