AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Benefits of Ghee: ঘি এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই আয়ুর্বেদ প্রতিকার, পুজোর মুখে ছুটতে হবে না ডাক্তারের কাছে!

Ayurveda: ঘি-এর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এই মিশ্রণ ওজন কমাতে সাহায্য করে

Benefits of Ghee: ঘি এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই আয়ুর্বেদ প্রতিকার, পুজোর মুখে ছুটতে হবে না ডাক্তারের কাছে!
জানুন ঘিৃএর উপকারিতা
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 9:47 AM
Share

ভারতীয় হেঁশেলে খুবই সুখ্যাতি রয়েছে ঘি-এর। আজ নয়, প্রাচীন কাল থেকেই নানা প্রয়োজনে আয়ুর্বেদে কাজে লাগানো হয় ঘি-কে। ঘি আমাদের শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে। অনেক গুপ্ত রোগ সেরে যায় ঘি-এর গুণেই। ঘি স্বাদেগন্ধে খাবারকে আরও বেশি অতুলনীয় করে তোলে। গরম ভাতে তুলনাহীন ঘি। আবার বেশ কিছু তরকারিতে গাওয়া ঘি পড়লে তার স্বাদ আলাদা হয়ে যায়। অন্যদিকে গরম রুটিতেও অনেকে ঘি- মাখিয়ে খায়। ঘি খেলে যে ওজন বাড়ে, কোলেস্টেরল বাড়ে, হার্টের সমস্যা আসে এসব একেবারেই ভুল ধারণা। তবে ঘি ভাল বলেই যে রোজ প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নেবেন এমনটা একেবারেই নয়। পরিমিত খান।

পুজোর আগে এবার জাঁকিয়ে বসেছে নানা রকম অসুখ। কোভিড চলে গেলেও ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর, ডেঙ্গি, ডায়ারিয়া, পেটখারাপ এমন হাজারো সমস্যা লেগেই আছে। আর তাই এই মরশুমে সুস্থ থাকতে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা দিচ্ছেন বিশেষ কিছু পরামর্শ। মেনে চললে একাধিক রোগ-সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ শরদ কুলকার্নির মতে, ঘি এর সঙ্গে হলুদ, কর্পূর, তুলসী, দারুচিনি- মিশিয়ে খেতে পারলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। দিনের মধ্যে যদি দু’বার খেতে পারেন তাহলে খুবই ভাল। পুজোর মরশুমে দূরে থাকবেন চিকিৎসকের থেকে।

ঘি-এর সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। এই মিশ্রণ ওজন কমাতে সাহায্য করে। তেমনই হার্ট, কিডনি ভাল রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তনালীর মধ্যে দিয়ে রক্তপ্রবাহ অনেক বেশি সহজ হয়। এক কাপ ঘি- এর সঙ্গে বাড়িতে শুকনো কপে গুঁড়িয়ে নেওয়া কাঁচা হলুদ ১ চামচ মিশিয়ে নিন। এবার এয়ার টাইট জারের মধ্যে তা রেখে দিন। রোজ এক চামচ করে খান।

শরীরের জন্য তুলসীর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তুলসি পাতা ভিটামিন এ, সি এবং কে সমৃদ্ধ। এগুলিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং পটাসিয়ামও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,তুলসী রক্তে শর্করা, লিপিড এবং রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঘি এর মধ্যে তুলসি পাতা ফেলে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে জারের মধ্যে সংরক্ষণ করুন।

আয়ুর্বেদে ঘি এর কর্পূরের একাধিক উপকারিতার কথা বলা রয়েছে। গাওয়া ঘি এর মধ্যে ছোট ২ টো কর্পূর ফেলে গরম করে নিন। এবার তা ঠাণ্ডা হতে দিয়ে ছেঁকে নিয়ে এয়ার টাইট কন্টেনারের মধ্যে রেখে দিন।

দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টি ভাইরাল একাধিক গুণাগুণ রয়েছে। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। ঘি গরম করতে বসিয়ে ওর মধ্যে দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। রোজ এই মিশ্রণ গরম করে ১ চামচ খান।

ঘি আর রসুন আমাগের শরীরের জন্য ভীষণ ভাল। রসুনকে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয়, যা শুধুমাত্র শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে না উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। প্যানে ১ চামচ ঘি দিয়ে হাফ চামচ রসুন কুচি দিয়ে নেড়ে নিন। এবার গ্যাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে তা খেয়ে নিন।