Potato Side Effects: নবরাত্রিতে সাবধান, এভাবে আলু খেলেই ছেঁকে ধরবে মারণ ব্যাধি
How To Cook Potato: ক্যানসার ঠেকাতে এবং ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে আলু সিদ্ধ করে খান। কিংবা বেক করেও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আলু সব সময় একদম কম তাপমাত্রায় ভাজা উচিত
নবরাত্রির উপবাস যাঁরা করেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এই সময় যে খাবারটি সবচাইতে বেশি খান তা হল আলু। যেহেতু এই সময় অনেক রকম খাবার খাওয়া যায় না তাই আলুই সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। আলুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি যে কারণে আলু খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। আর আলুর যে কোনও খাবার খুব কম সময়ের মধ্যে তৈরিও করা যায়। উপবাসের পর আলুভাজা, পরোটা, আলুর পরোটা, ফ্রেঞ্চফ্রাই, চিপস এসব বেশি খাওয়া হয়। আর তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের মতে একেবারে ছাঁকা তেলে আলুভাজা না খাওয়াই ভাল। কারণ তা ক্যানসারের অন্যতম কারণ। অনেকেই আলু সোনালি হয়ে না ভাজা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। তাই ডিপ ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পটেটো চিপস এসব এড়িয়ে চলতে হবে।
কেন ডিপ ফ্রায়েড আলুভাজা খাওয়া শরীরের জন্য এত খারাপ?
আলু ছাঁকা তেলে ভাজা হলে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয়। এই অ্যাক্রিলামাইডের মধ্যে থাকে কার্সিনোজেনিক উপাদান। এই উপাদানই ক্যানসারের অন্যতম কারণ। আর আলু এইভাবে ছাঁকা তেলে ভেজে খেলে যাবতীয় পুষ্টিও নষ্ট হয়ে যায়।
এই অ্যাক্রিলামাইড স্নায়ুর ক্ষতি করে। যে কারণে পেশী দুর্বল হয়ে যায়। সেখান থেকে একাধিক জটিল স্নায়ুর সমস্যাও আসতে পারে।
কীভাবে খাবারে এই অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয়?
আলুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ স্টার্চ। আর এই আলু সোনালি করে ভাজলে আলুর মধ্যে থাকা ভাল যৌগ ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। এবং তখনই ক্ষতিকর এই অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয়। যে কারণে ডিপ ফ্রায়েড কোনও খাবার, আলুর চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কুকিজ, টোস্ট বিস্কুট এবং কফি একেবারেই খেতে মানা করা হয়। এই সব খাবার বেশি খেলেই বিপদ বাড়বে।
কীভাবে আলু রান্না করবেন?
ক্যানসার ঠেকাতে এবং ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রুখতে আলু সিদ্ধ করে খান। কিংবা বেক করেও খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও আলু সব সময় একদম কম তাপমাত্রায় ভাজা উচিত। একদম অল্প তেলে ঢেকে ঢেকে আলু ভাজতে হবে। এছাড়াও আলু সিদ্ধ করে নিয়ে তারপরেও ভাজতে পারেন। আলুর রং হালকা বাদামী রাখুন, সোনালি নয়। আর আলু কাটার আগে অন্তত ১৫-৩০ মিনিট জলে জুবিয়ে রাখুন। এতে অ্যাক্রিলামাইডের পরিমাণ কমে।