Diabetes: মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, ডায়াবিটিসকে কাবু করবে ঘরোয়া এই আর্য়ুবেদিক প্রতিকার! মেনেই দেখুন না…

আজকাল বেশিরভাগই কিন্তু ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত সমস্যায় ভুগছেন। কারণ গায়ে সূর্যের আলো লাগে না। আর তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৩০ মিনিট সূর্যের আলোয় থাকতে। এতে কিন্তু শরীর থাকে সুস্থ

Diabetes: মুঠো মুঠো ওষুধ নয়, ডায়াবিটিসকে কাবু করবে ঘরোয়া এই আর্য়ুবেদিক প্রতিকার! মেনেই দেখুন না...
ডায়াবিটিস রুখতে মেনে চলুন ঘরোয়া এই সব টোটকা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2022 | 8:38 AM

বিশ্বজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে ডায়াবিটিস আক্রান্তের সংখ্যা। নারী-পুরুষ উভয়ই আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসের নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। এই লকডাউনে সেই সংখ্যাটা কিন্তু অনেকটাই বেড়েছে। ডায়াবিটিসের অন্যতম কারণ হল আমাদের জীবনযাত্রা। দৈনন্দিন জীবনে স্ট্রেস বেড়েছে অনেকখানি। সেই সঙ্গে একটানা বসে কাজ, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, বাইরের খাবার বেশি খাওয়া এই সব তো আছেই। ডায়াবিটিস অজান্তেই আমাদের শরীরের অনেক ক্ষতি করে। বিশেষত চাপ পড়ে কিডনি, চোখ, হার্টে। আর তাই সকলেরই উচিত বছরে অন্তত একবার ডায়াবিটিস পরীক্ষা করে দেখা। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ তো খাবেনই। সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা, ডায়েটও কিন্তু জরুরি। এছাড়াও আর্য়ুবেদ মতে এই কয়েকটি খাবারও কিন্তু ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একবার পরখ করে দেখতেই পারেন।

করলা: আমাদের দেশে সারাবছরই প্রচুর পরিমাণে করলা পাওয়া যায়। আর তাই প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে একটা গোটা করলা সিদ্ধ খেতে পারলে লাভ আছে। এছাড়াও করোলার জুস বানিয়ে খান। এতেও কিন্তু উপকার পাবেন। রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে করলার ভূমিকা অনেকটাই। এছাড়াও করলার তরকারি বানিয়েও খেতে পারেন।

আমলা: আমলা ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস এবং রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঁচা আমলা খেতে পারেন, অথবা এক কাপ করলার রসের সাথে ১ টেবিল চামচ আলমার রস মিশিয়ে প্রতিদিন পান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি ২ চামচ আলমার রস এক কাপ জলের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন।

আম পাতা: আম পাতা ডায়াবিটিসের চিকিৎসাতে কিন্তু ভীষণ ভাবে কার্যকরী। যদিও অনেকেই তা জানতেন না। কচি আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান। সকাল আর সন্ধ্যায় দু গ্লাস করে খেতে পারলে কিন্তু উপকার পাবেন।

মেথি: সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু ভীষণ ভাল কাজ করে মেথি। মেথি আমাদের ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দু চামচ মেথি এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। এবার সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। রোজ খালি পেটে এই জল খেলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে কিন্তু ফ্যাটও কমে।

দারুচিনি: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে দারুচিনি শুধু রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাই নয়, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। দারুচিনি আমাদের ইনসুলিনের ক্ষরণ রাখে নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন এককাপ জলে ২ ইঞ্চি দারুচিনি ভিজিয়ে রাখুন। এবার পর দিন সকালে সেই জল খান। এতেও কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ।

সজনে শাক- সজনে পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এছাড়াও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও খুব ভাল কাজ করে এই পাতা। আর তাই প্রতিদিন গরম ভাতের সঙ্গে সজনে পাতা ভাজা করে খেতে পারেন। এতেও কিন্তু সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।