AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hunger Pangs tips: পেটভরে খাওয়ার ঠিক ৩০ মিনিটের মধ্যেই আবার খিদে পাচ্ছে? স্বাভাবিক নয়, অসুস্থতারই ইঙ্গিত…

How to stop hunger pangs: চিকিৎসকরা বলছেন, ক্রমাগত খিদে পাওয়ার ২ টো কারণ আছে। হতে পারে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন না। বা শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল কোনও অসুখ

Hunger Pangs tips: পেটভরে খাওয়ার ঠিক ৩০ মিনিটের মধ্যেই আবার খিদে পাচ্ছে? স্বাভাবিক নয়, অসুস্থতারই ইঙ্গিত...
এমন খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2022 | 9:01 PM
Share

কেউ বলে চোখের খিদে, কেউ বলে মনের। তবুও এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁদের পেট ভরে খাবার খাওয়ার পরও খিদে পায়। চোখের সামনে কাউকে খেতে দেখলেও খিদে পায়। এমনকী নিজের খাবার ছেড়ে পাশের জনের খাবারের দিকেই নজর যায়। ৩০ মিনিট আগে যদি পেট ভরে বিরিয়ান খান তো তার ঠিক ১ ঘন্টার মধ্যেই আবার রোল, চাউমিন সাঁটিয়ে দিতে পারেন। তবে এই রকম খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যকর নয় তেমনই স্বাভাবিক অভ্যাসও নয়। এক রকম রোগ বা রোগের উপসর্গ বলা চলে। ইংরেজিতে একে Hunger Pangs বলে। চিকিৎসকরা বলছেন, ক্রমাগত খিদে পাওয়ার ২ টো কারণ আছে। হতে পারে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন না। বা শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল কোনও অসুখ। এছাড়াও দিনের মধ্যে অন্তত তিনবার খাবার খেতেই হবে।

কিন্তু এই ঘন ঘন খিদে পাওয়ার কারণ কী?

আমাদের মস্তিষ্ক থেকে ঘ্রেলিন নামের একপ্রকার হরমোন উৎপন্ন হয়। যা আমাদের খাবার হজম করাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে পাকস্থলী থেকেও খাবার হজমকারী প্রয়োজনীয় অ্যাসিড নিঃসরণের সংকেত দেয়। যদি খাবার না খাওয়া হয় তখন এই অ্যাসিডগুলি পাকস্থলির আস্তরণে আক্রমণ করতে শুরু করে। খিদের চোটে যে কারণে পেটে ব্যথা হয়।

ক্রমাগত ক্ষুধা কিসের কারণ?

দিনে নিয়ম করে তিনবার খাবার ( ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার) খাওয়ার পরও যদি খিদে পায় তাহলে তা হতে পারে ডায়াবেটিস, হাইপারথাইরয়েডিজম, ওবেসিটি, ডিপ্রেশনের লক্ষণ। অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করান। সেই ভাবে নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করুন। অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া যেরকম মানসিক রোগ ডেকে আনে তেমনই একাধিক শারীরিক সমস্যাতেও ফেলে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেলে পেট সেভাবেই অভ্যস্ত হয়ে যায়। তখন মস্তিষ্ক থেকেও বারে বারে সেই সংকেত আসতে থাকে। গর্ভাবস্থাতেও বাড়ে নানা ক্রেভিং। এক্ষেত্রেও নিজের খিদেকে সীমার মধ্যে রাখুন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা এই ক্রমাগত ক্ষুধার জন্য আমাদের শরীরের বিশেষ কিছু হরমোনকেই দায়ী করেছেন। অধিকাংশ সময় হরমোন উত্তেজিত থাকে। যে কারণে বেশি খিদে পায়। তাই এই অতি খিদের লোভ সামলাতে রোজ যে কয়েকটি খাবার খেতে পারেন-

বাদাম– এক্ষেত্রে কাজুবাদাম খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম,ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার। যা অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় তা খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে দিনে ৩ টের বেশি নয়।

নারকেল- নারকেলের মধ্যে আছে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস (এমসিটি-তে ক্যাপ্রিক, ক্যাপ্রিলিক, ক্যাপ্রোইক এবং লরিক অ্যাসিড অন্তর্ভুক্ত)। যা দ্রুত চর্বি পোড়ায়, খিদে কমায়। বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকায় অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদে পায় না।

স্প্রাউটস- অঙ্কুরিত ছোলা-মুগের অনেক গুণ। এর মধ্যে থাকে প্রোটিন, ফাইবার। যা আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রোটিন হজম করতে বেশি সময় লাগে বলেই খিদে কম পায়। ছোলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি।

বাটারমিল্ক- খিদে কমাতে প্রোবায়োটিক হিসেবে খুব ভাল কাজ করে বাটার মিল্ক। বাটার মিল্কে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম থাকে। প্রোটিন থাকে। যা হজম করায়, ফ্যাট গলায় এবং খিদে কমায়।