Curd For Health: সব সময় ডায়েট চার্টে বিশেষজ্ঞরা একবাটি টকদই রাখার পরামর্শ দেন, কারণ জানেন?
Health Tips: সব সময় বাড়িতে পাতা টকদই খাওয়া ভাল। এই দই এর মধ্যে অতিরিক্ত চিনি মেশাবেন না। বাজার থেকে দই কিনলেও সব সময় টকদই খান। মিষ্টি দই শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়
যে কোনও ডায়েট চার্টেই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন দুপুরের খাবারের সঙ্গে একবাটি টকদই খাওয়ার। অর্থাৎ রোজকার ভাত, ডাল, মাছ, সবজি, স্যালাডের সঙ্গে নিয়ম করে রাখতে হবে একবাটি টকদই। যাঁরা দুপুরে দই খাওয়ার সুযোগ পান না তাঁদের ব্রেকফাস্টে রাখার কথা বলা হয়। তবে যে কোনও ভাবেই হোক দই খেতে হবে। দইকে প্রোবায়োটিক ফুড বলা হয়। শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই সব প্রোবায়োটিক ফুড। জন্মের সময় থেকেই অন্ত্রে বেশ কিছু ভাল ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রোবায়োটিক খাবার বলতে বোঝায়, এক বিশেষ রকম ফাইবার। যা অন্ত্র বা কোলনের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে পুষ্টি দেয়। কোলন সুস্থ রাখে এবং সেই সঙ্গে কমায় কোলেস্টেরলের মাত্রাও। প্রোবায়োটিক খাবার বেশি পরিমাণে খেলে ইনসুলিনও ঠিকমতো কাজ করার সুযোগ পায়। মোটকথা প্রোবায়োটিক ফুড আমাদের হজম ক্ষমতা বাড়ায়।
টকদই-এর মধ্যে রয়েছে একাধিক গুণাগুণ। যে কারণে শরীর সুস্থ রাখতে টকদই খাওয়ার কথা বলা হয়। শরীরের আরও বাকি সব সমস্যা দূর করতে টকদই হল একমাত্র হাতিয়ার। টকদইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন। আছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ। যা আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে টকদই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডায়াবেটিস, প্রেশারের রোগীদের জন্য যেমন ভাল টকদই তেমনই ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আরও যে সব কাজে লাগে-
পেটের সমস্যায়- বাঙালি বরাবরি পেটরোগা। পেটের নানা সমস্যা লেগেই রয়েছে। পেট খারাপ, গ্যাস, পেটে ব্যথা এ হল নিত্যদিনের সমস্যা। আর এই সমস্যাতেও কিন্তু কাজে লাগে টকদই। দইয়ের মদ্যে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ল্যাকটোব্যাসিলাস। এই ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে থাকা খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে দেয়। ফলে হজমের সমস্যা কমে। বাড়ে হজমশক্তিও।
হাড়ের গঠন ভাল হয়- দই এর মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। যা আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও দইয়ের মদ্যে থাকে ক্যালশিয়াম। যার গুণে বাত বা জয়েন্টের ব্যথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে রোজ একবাটি করে টকদই খাওয়া খুবই ভাল।
রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়- শরীরে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলেও সাহায্য করে এই টকদই। অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাকটেরিয়া আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। দইতে যেহেতু ভাল ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাই তা শীরের জন্য ভাল। টকদইয়ের মধ্যে কোনও ক্যালোরি থাকে না। যে কারণে যারা ফ্যাট ঝরাতে চাইছে তাদের জন্য দই হল আদর্শ ডায়েট।