ওজন বেশি হলেই শরীরে জাঁকিয়ে বসে একাধিক সমস্যা। আর তাই প্রথম থেকে সকলকেই এ বিশয়ে সচেতন হতে হবে। আজকাল কাজের চাপে শরীরচর্চার জন্য ৩০ মিনিট সময়ও অনেকে বের করতে পারেন না। শরীরচর্চা একেবারেই না করলে আমাদের মেটাবলিক রেট কমে যায়। সেখান থেকে শরীরে একাধিক রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। আর তাই ওজন বৃদ্ধি ঠেকাতে প্রথম থেকেই এই কয়েকটি খাবার অবশ্যই পাতে রাখবেন।
সেই সঙ্গে খাবার খেতে হবে ক্যালোরি মেপে। আধপেটা থাকা যেমন কাজের কথা নয় তেমনই পুরো পেট ভরে খাবেন না। এখান থেকেও হতে পারে হজমের সমস্যা। ওজন কমাতে সবচেয়ে ভাল হল প্রোটিন। আর প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিদেও পায় না। কারণ প্রোটিন হজম করতে সময় লাগে। যে কারণে খিদে দেরিতে পায়।
প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম। ছোট মাছ খান। চিকেনের স্ট্যু বানিয়ে খান। এতে অনেক বেশি উপকারও পাবেন। উদ্ভিজ প্রোটিনও রাখুন ডায়েটে। অঙ্রুরিত ছোলা, মুগ এসব বেশি করে খান। পনির খান। ডিম বা মাংসের স্যালাডও খেতে পারেন। ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে খাবেন।
ডিম প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। ডিমের মধ্যে থাকে ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি। তাই ডিম খেলে মস্তিষ্কে খিদের অনুভূতি কম হয়। চিজ ওমলেট বা ডিম ভাজার পরিবর্তে ডিম সিদ্ধ করে খান। ডিম সিদ্ধর সঙ্গে সামান্য নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা মিশিয়ে নিন।
রোজ পাতে রাখুন মরশুমি ফল। আপেল, ন্যাশপাতি, বেদানা, পেয়ারা, শসা, আঙির, আনারস, পেঁপে ইত্যাদি। কলা দিনে একটার বেশি খাবেন না। কারণ কলার মধ্যে থাকে বেশি পরিমাণ ক্যালোরি। আনারস, আপেল, ন্যাশপাতি এসব মিশিয়ে খেলে ওজন কমবেই। এছাড়াও খেতে পারেন বিভিন্ন রকম ড্রাই ফ্রুট। আমন্ড, ওয়ালনাট খান। এর মধ্যে যে ভাল ফ্যাট থাকে তা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে
খেতে পারেন স্যালাড। স্যালাডের মধ্যে থাকে নানা রকম সবজি। লএর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই ফাইবার আমাদের পেট ভর্তি রাখে।